মাত্র ১২ বছরে তৈরি হওয়া মুগ্ধতা কথন যে ভালবাসায় পরিণত হল, তা বুঝেও উঠতে পারেননি সায়রা বানু । স্বপ্নের নায়ককে বাস্তবেও স্বামী হিসাবে পাওয়া তাঁর জীবনের অন্যতম প্রাপ্তি, এ কথা বারবার স্বীকার করেছেন সায়রা । ১৬ বছর বয়সে তিনি দিলীপ কুমার অভিনীত ‘মুঘল-এ আজাম’ ছবির প্রিমিয়ারে উপস্থিত হন সায়রা । তিনি তখন যুবতী, আর দিলীপ কুমার প্রতিষ্ঠিত স্টার! তবে প্রথম সাক্ষাৎ থেকেই সায়রা বানু বিশ্বাস করতেন যে, তিনি একদিন দিলীপ ঘরণী হবেনই৷
advertisement
‘ঝুক গয়া আসমান’ (Juhk gaya Asman)ছবিতে সায়রা বানুকে প্রোপোজ করেন দিলীপ সাব (Dilip Saab)। না বলার তো কোনও প্রশ্নই ছিল না ৷ ১৯৬৬-র ১১ অক্টোবর সায়রা বানু ও দিলীপ কুমারের বিয়ে হয় (Dilip Kumar Saira Banu marriage)৷ ৪৪ বছরের দিলীপের নতুন বৌ তখন মাত্র বাইশের । শুরু হল তাঁদের রূপকথার পথচলা । তাঁদের দাম্পত্য যেন চির নবীন, চির যুবতী। এমন আদর্শ দাম্পত্যের উদাহরণ বলিউডে খুব বেশি দেখা যায় না । ৫৪ বছর একে অপরের ভরসার কাঁধ হয়ে ছিলেন তাঁরা । কিন্তু কোনও সন্তান ছিল না তাঁদের ।
নিজের আত্মজীবনীতে দিলীপ সাহাব লিখেছিলেন সে কথা । অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় বাথরুমে পড়ে গিয়েছিলেন সায়রা বানু । তাঁর ব্লাড প্রেসার খুব বেশি ছিল । সে কারণেই ৮ মাসের গর্ভস্থ শিশু গর্ভেই মারা যায় । তারপর থেকে আর কখনও সন্তানধারণ করতে পারেননি সায়রা বানু ।
২০১২ সালে একবার হিন্দুস্তান টাইমসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে দিলীপ কুমার এ বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন । বলেছিলেন, ‘হয়তো খুব ভাল হত আমাদের ছেলেমেয়ে থাকলে । কিন্তু আমরা ঈশ্বরের ইচ্ছা মেনে নিয়েছি । এ জন্য আমাদের কোনও দুঃখ নেই, অনুশোচনাও নেই । যদি শূন্যতার কথা বলেন, তা হলে সেটা নিয়েও আমাদের মধ্যে অনুযোগ নেই কোনও । আমাদের বিশাল পরিবার । আমার ভাইপো-ভাইঝি, তাঁদের সন্তানাদি রয়েছে । তাঁদের সঙ্গে হাসিতে, মজায় দিন কেটে যায় । সায়রা ছোট পরিবার । তাঁর ভাই সুলতানের ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনিরা রয়েছে । আমরা নিজেদের খুব লাকি মনে করি ।’’