অমিতাভের সামনে দীপিকা পাড়ুকোন বলেন, '২০১৪ সাল নাগাদ আমার অবসাদ ধরা পড়ে। অবসাদের সময়কার কথা কেউই বলতে চান না। কারণ, অবসাদ কেমন হতে পারে, সে সম্পর্কে অনেকেরই বিশেষ জানা থাকে না। আমি অনুভব করি যে, যদি আমি অবসাদের মতো অভিজ্ঞতা অনুভব করে থাকি, তাহলে আমার মতো আরও অনেকেরই তেমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। আমার জীবনের একটা লক্ষ্য রয়েছে। আর সেটা হল, আমি যদি কোনওদিন কারও জীবন বাঁচাতে পারি, তাহলে আমার সেই লক্ষ্য পূরণ হবে।'
advertisement
এ সব শুনে অমিতাভ বচ্চনও দীপিকাকে সেই সময়কার অনুভূতির কথা শেয়ার করতে বলেন। দীপিকা বলেন, 'হঠাৎই আমার মধ্যে অদ্ভূত একটা অনুভূতি হতে শুরু করেছিল। কেমন যেন খালি খালি অনুভব হত। আমার কারও সঙ্গে কথা বলতে, দেখা করতে, এমনকী কাজ করতেও ইচ্ছে হত না। কোথাও বাইরে যেতে ইচ্ছে হত না। জানি না বলাটা ঠিক হচ্ছে কিনা, আমার এমনও মনে হত যে, আমি আর বাঁচতে চাই না। কারণ, বেঁচে থাকার কোনও তাগিদ বা প্রয়োজনই আমার মধ্যে কাজ করত না।'
তিনি আরও বলেন, 'সেই সময়ে বেঙ্গালুরু থেকে মুম্বইতে আমার মা বাবা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যখন ওঁরা ফেরার জন্য বিমানবন্দরে যাচ্ছেন, আমি তখন কাঁদতে শুরু করে দিই। আমার মা বিষয়টা লক্ষ্য করেছিলেন। আমি সাধারণত কাঁদতে অভ্যস্ত নই। তাই আমি যখন কাঁদছি, তার মানে নিশ্চয়ই কোনও গোলমাল রয়েছে। আমি কাঁদছিলাম, যেন কোনও সাহায্য পাওয়ার জন্য। আমার মা সেটা বুঝতে পারেন। এরপরই মা আমাকে মনোবিদের কাছে নিয়ে যান।' দীপিকা জানিয়েছেন, চিকিৎসার পর বহু মাস সময় নিয়ে তিনি পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠেন। যদিও সেই স্মৃতি তিনি ভুলে যাননি এবং জীবনকে সুন্দর করে তুলতে আমূল বদল এনেছেন বলেও জানান নায়িকা।
আরও পড়ুন: একই ফ্রেমে রণবীর কাপুরের দুই প্রাক্তন প্রেমিকা, 'মডেল'দের চিনতে পারছেন?