অনন্তের এই বনতারা উদ্যোগের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করতে দেখা গেল রণবীর সিংকে। নিজের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে পোস্ট করে তিনি বলেন যে, “পশু কল্যাণের ক্ষেত্রে একটা চরম মুহূর্ত।” রণবীর আরও লিখেছেন যে, “অনন্ত, তোমার সবথেকে বড় এবং দয়ালু মন রয়েছে।”
আরও পড়ুন: ‘আমরা পরিবারের সকলে খুব পশু-পাখি ভালবাসি’, এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে Network 18-কে বললেন অনন্ত আম্বানি
advertisement
এর আগে অনন্ত আম্বানির অনুপ্রেরণামূলক দৃষ্টিভঙ্গির প্রশংসা করে একটি পোস্ট করেছিলেন বলিউড অভিনেত্রী করিনা কাপুর। এখানেই শেষ নয়, তিনি এই উদ্যোগের আওতায় উদ্ধার হওয়া একটি হাতির প্রসঙ্গও উত্থাপন করেন। অভিনেত্রী লিখেছেন যে, “২০০টিরও বেশি হাতি এবং হাজার হাজার পশু, সরীসৃপ ও পাখিদের উদ্ধার করার জন্য অক্লান্ত ভাবে পরিশ্রম করে চলেছে বনতারা। এর মাধ্যমে পশু কল্যাণের অঙ্গীকারও করা হচ্ছে। এই ধরনের দুর্দান্ত উদ্যোগ তৈরির বিষয়ে সাবাশ অনন্ত এবং টিম।”
সম্প্রতি এই উদ্যোগের আওতায় একটি হাতির চিকিৎসা করা হয়েছিল। টারজান নামের একটি হাতির ক্যাটারাক্ট সার্জারি সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছেন চিকিৎসকেরা। এর ফলে ফের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছে হাতিটি। করিনা বলেন, “এটা হল টারজান। একটি কমবয়সী হাতি। সম্প্রতি একটি সফল ক্যাটারাক্ট সার্জারির পরে সেই হাতিটির জীবনই বদলে গিয়েছে। আর হাতিটিও নিজের দৃষ্টি ফিরে পেয়েছে।”
প্রায় ২১০০ জনেরও বেশি কর্মী নিয়ে তৈরি উদ্ধার ও পুনর্বাসন কেন্দ্র এখনও পর্যন্ত সারা ভারত থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় ২০০টি লেপার্ড। এই লেপার্ডগুলি সড়ক দুর্ঘটনায কিংবা মানুষ ও বন্যপ্রাণীর সংঘাতে জখম হয়েছে। আবার তামিলনাড়ু থেকে উদ্ধার হয়েছে ১০০০টিরও বেশি কুমির। এছাড়া আফ্রিকার হান্টিং লজ ও স্লোভাকিয়ায় ইউথ্যানেশিয়ার বিপদের মুখে পড়া প্রাণী, এমনকী মেক্সিকো থেকে মারাত্মক যন্ত্রণার মধ্যে থাকা প্রাণীদের উদ্ধার করা হয়েছে।
ভেনেজুয়েলান ন্যাশনাল ফাউন্ডেশন অফ জ্যু-এর মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করে দারুণ কৃতিত্ব অর্জন করেছে বনতারা প্রোগ্রাম। এর পাশাপাশি এটি স্মিথোসোনিয়ান এবং ওয়ার্ল্ড অ্যাসোসিয়েশন অফ জ্যুস অ্যান্ড অ্যাকোয়ারিয়ামসের মতো নামীদামি বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গেও যুক্ত। আবার ভারতে তারা কোল্যাবোরেট করেছে ন্যাশনাল জ্যুলজিক্যাল পার্ক, অসম রাজ্য চিড়িয়াখানা, নাগাল্যান্ড জ্যুলজিক্যাল পার্ক, সর্দার প্যাটেল জ্যুলজিক্যাল পার্ক ইত্যাদির সঙ্গেও।