অবশ্য তাঁর মানে এই নয় যে শুধুই ডায়েট মেনে চলেন অভিনেতা। বরং সব রকমের খাবার চেখে দেখাতেই তাঁর উৎসাহ বেশি। অভিনেতাদের নানা রকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে চলতে হয়। একেক সময় একেক রকম মুড থাকে। অনিলও মুডের সঙ্গে তাল মিলিয়ে খাবার খেতে ভালোবাসেন। তাঁর মতে ভাল খাবার হল ভাল খাবার। সেটা যে কোনও প্রান্তের, যে কোনও রঙের বা বর্ণের হতে পারে।
advertisement
তবে বিভিন্ন রকম খাবার খেতে ভালবাসলেও, প্রাজ্ঞ অভিনেতার মতে ভারতের ফুড ক্যাপিটাল হল মুম্বই। সম্ভবত এখানেই তাঁর বেড়ে ওঠা বলে শহরের ফুড কালচারের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত তিনি। এখন আরও অনেক নতুন নতুন রেস্তোরাঁ গড়ে উঠেছে মুম্বইতে। দক্ষ শেফের হাতে নানা সুস্বাদু পদ চেখে দেখতে ভালোবাসেন তিনি।
অনিলের খাদ্যপ্রেমের সঙ্গে জড়িয়ে আছেন তাঁর ম্যানেজার জালালও। দেশের অন্য কোনও শহরে বা বিদেশে শুটিং করতে গেলেই, সেই দেশের খাবারদাবার নিয়ে গবেষণা করতে বসে যান জালাল। বেছে বেছে বের করেন সেই অঞ্চলের সেরা খাবার। সব হয়তো খেয়ে দেখা সম্ভব হয় না। কিন্তু তার মধ্যেও দু’একটা ঠিক খেয়ে দেখেন অনিল।
অনেকেই মনে করেন অভিনেতারা ভাজাভুজি বা অস্বাস্থ্যকর রাস্তার খাবার এড়িয়ে চলেন। সবার ক্ষেত্রে যদিও এই নিয়ম খাটে না। অকপটে রাম লখন (Ram Lakhan)-এর অভিনেতা জানালেন যে বার্গার আর ফ্রাই তাঁর ভীষণ পছন্দের। ছোট মেয়ে রিয়ার (Rhea Kapoor) সঙ্গে মাঝে মধ্যেই রাস্তার খাবার এক্সপ্লোর করেন তিনি। তবে হাজার হলেও তিনি একজন অভিনেতা। তাই একটু আধটু চিট মিলের দিকে মন ঘুরলেই জমিয়ে ওয়ার্ক-আউট করে নেন তিনি।
কিন্তু আসল প্রশ্ন হচ্ছে এখনও এত ফিট কী ভাবে থাকেন মিস্টার ইন্ডিয়া? ডায়েট নিয়ে কড়াকড়ি না পসন্দ অভিনেতার। আপাতত তিনি এমন ডায়েট অনুসরণ করছেন যেখানে সপ্তাহে একদিন উপোস থাকতে হয়। আর এটা নাকি দারুণ কাজ দিয়েছে অনিলের জন্য।
রান্নাবান্নায় খুব একটা সময় পান না তিনি, তবে ফাঁক পেলে রান্নাঘরে ঢুকতে যে খুব একটা আপত্তি নেই সেটাও স্পষ্ট জানালেন অনিল!