নানা পটেকর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও প্রকাশ করে ওই ঘটনাকে মর্মান্তিক ঘটনা বলে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হচ্ছে যাতে আমি একটি ছেলেকে আঘাত করেছি। যদিও এই সিকোয়েন্সটি আমাদের ফিল্মের একটি অংশ, আমরা ওটা রিহার্সাল করছিলাম। ওই একই দৃশ্য আমাদের দ্বিতীয়বারও রিহার্সাল করার কথা ছিল। পরিচালক আমাকে শুরু করতে বললেন। তারপরই হঠাৎ একটি ছেলেটি এসে পড়ার ওই দৃশ্যের শ্যুটিং শুরু হয়। আমি জানতামও না সে কে, আমি ভেবেছিলাম সে আমাদেরই ক্রুদের একজন, তাই ওকে থাপ্পড় মেরে চলে যেতে বলেছিলাম।”
নানা পটেকর আরও জানান, “পরে আমি জানতে পেরেছিলাম যে ছেলেটি ক্রুয়ের অংশ নয়। তাই, ওকে ডাকতে যাচ্ছিলাম কিন্তু ও পরে পালিয়ে যায়। হয়তো ওই ছেলেটির বন্ধু ওই ভিডিওটি শ্যুট করেছে। আমি কখনই কেউ ছবি তুলতে এলে কাউকে না বলিনি। আমি এটা করি না… এটা ভুলবশত হয়েছে… কিছু ভুল বোঝাবুঝি হলে আমাকে ক্ষমা করে দেবেন….আমি কখনওই এরকম কিছু করব না…”
আরও পড়ুন: কালই ঘুরবে ভাগ্যের চাকা! ৫ রাশির জীবনে অদলবদল, সূর্যের রাশি পরিবর্তনে হাতে টাকা আসবে হুহু করে
সূত্রের প্রতিবেদন অনুসারে চলচ্চিত্র নির্মাতা অনিল শর্মাও এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তিনি একই কথা জানিয়ে বলেন ওই দৃশ্য তারঁ চলচ্চিত্রের একটি অংশ ছিল। অনিল শর্মা বলেন, “আমি পরে এই খবর জানতে পেরেছি। নানা ইচ্ছা করে কাউকে আঘাত করেননি, বরং এটা আমারই ছবির শট। আমরা বেনারসের রাস্তার মাঝামাঝি ওই দৃশ্যের শ্যুটিং করছিলাম, যেখানে নানার কাছে আসা একটি ছেলেকে তাঁকে মাথায় আঘাত করতে হবে। শ্যুটিং চলাকালীন ভুলবশত এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।”
সংবাদ সংস্থা পিটিআই অনুসারে, ভিডিওটি বারাণসীর, ওখানেই নানা পটেকর, অনিল শর্মা এবং তাঁর ছেলে ও অভিনেতা উৎকর্ষ শর্মা শ্যুটিং করছিলেন। ১০ সেকেন্ডের ওই ক্লিপটিতে, নানা একটি স্যুট এবং একটি টুপি পরেছিলেন।