হৃতিক লিখেছেন, “হ্যাঁ, আমাদের এমন সমাজ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে আমরা সকলেই সমান ভাবে নিরাপদ বোধ করি। কিন্তু সেই জায়গায় পৌঁছতে কয়েক দশক সময় লেগে যাবে। আর এটা আমাদের পুত্র এবং কন্যাদের সংবেদনশীল ও ক্ষমতায়নের মাধ্যমে ঘটবে। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম ভাল হবে। সেই জায়গায় আমরা ধীরে ধীরে পৌঁছব। কিন্তু তার মাঝে? এই ধরনের নৃশংসতা বন্ধ করাই হল এই মুহূর্তের সবথেকে বড় ন্যায়বিচার। এই অপরাধের শান্তি এতটাই কঠোর হওয়া উচিত যে, এই ধরনের মানুষরা যেন দিনের আলো দেখেও কেঁপে ওঠে। এটাই আমাদের প্রয়োজন। সম্ভবত?”
advertisement
এখানেই শেষ নয়, হৃতিক আরও লেখেন, “বিচার চেয়ে মৃত ওই চিকিৎসকের পরিবারের পাশেই রয়েছি। আমি সেই সকল চিকিৎসকেরও সঙ্গে রয়েছি, যাঁরা গত রাতে আক্রান্ত হয়েছেন।” বৃহস্পতিবার জঘন্য ওই ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের মৃত্যুদণ্ডের দাবি তুলেছেন বলিউড অভিনেতা জেনেলিয়া ডিসুজাও। তিনি লিখেছেন, “দানবদের ফাঁসিতে ঝোলাতে হবে!!! ওই তরুণী চিকিৎসককে যে যন্ত্রণার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে, তা পড়ে তো আমার শিরদাঁড়া দিয়ে হিমশীতল স্রোত বয়ে গিয়েছে। এক মহিলা যিনি সকলের জীবন বাঁচান, তাঁকেই ডিউটি চলাকালীন সেমিনার হলে ভয়ঙ্কর পরিণতির শিকার হতে হয়েছে। তাঁর পরিবার এবং প্রিয়জনদের জন্য আমার প্রাণ কাঁদছে। এই ঘটনায় তাঁরা কী কষ্টের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন, তা আমার কাছে অকল্পনীয়! আর আমার কাছে স্বাধীনতার অর্থ হল, যখন আমাদের দেশের মহিলারা সত্যি সত্যিই নিরাপদ বোধ করবেন।”
শুধু তা-ই নয়, এই বিষয়ে সরব হয়েছেন করিনা কাপুর খান-আলিয়া ভাট থেকে শুরু করে প্রীতি জিন্টা পর্যন্ত। করিনা লিখেছেন, “১২ বছর পরে একই গল্প, একই প্রতিবাদ। কিন্তু আমরা এখনও পরিবর্তনের জন্য অপেক্ষা করে চলেছি।” অন্যদিকে প্রীতি জিন্টা প্রচণ্ড রেগে গিয়ে লিখেছেন, কলকাতার এই ধর্ষণকাণ্ড ‘অত্যন্ত জঘন্য’। মহিলাদের নিরাপত্তার উপর জোর দিতে হবে। আর সেই সঙ্গে দোষীদের কঠোর শাস্তিরও দাবি তুলেছেন প্রীতি। এর আগে অবশ্য এই ঘটনাকে ‘ভয়ঙ্কর’ বলে দাবি করেছেন কঙ্গনা রানাউত। সিবিআই তদন্তের দাবি তুলেছিলেন তিনি। ক্ষোভ প্রকাশ করে বিচার চেয়েছেন স্বরা ভাস্কর এবং রিচা চাড্ডার মতো অভিনেত্রীও।