এরপর জমিদার মুরারী মোহন চৌধুরী ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গেলে বোল্লা মায়ের কাছে মানত করেন এবং মামলায় জয়লাভ করেন। কৃতজ্ঞতা ও ভক্তির প্রতীক হিসেবে তিনি বোল্লাকালীর মন্দির নির্মাণ করেন। সেই থেকেই এই পুজো৷ যে জেলায় এই পুজো হয় সেই দক্ষিণ দিনাজপুরের মেয়ে সঙ্গীত শিল্পী মেখ্লা দাশগুপ্ত৷ এবার বোল্লাকালী মাকে গান গেয়ে শ্রদ্ধা জানালেন তিনি৷
advertisement
প্রচারে সেভাবে না থাকলেও উত্তরবঙ্গে বোল্লাকালী মায়ের কথা সকলেই জানেন৷ বহু মানুষ মানত করেন ইচ্ছেপূরণের জন্য৷ মেখ্লারও ছিল তেমন ইচ্ছে৷ গানের জগতে নিজের পরিচিতি তৈরি করেছেন শিল্পী৷ দুর্গাপুজোতে রিলিজ করেছেন তাঁর একক গান, রয়েছে তাঁর সরস্বতী বন্দনাও৷ ইচ্ছে ছিল বোল্লাকালী মায়ের বন্দনায় গান গাইবার৷ মেখ্লার কথায়, আমার জেলায় যে ঠাকুরকে সকলে মানেন, যাঁর কৃপায় আমি এতদূর আসতে পেরেছি, তাঁর চরণ ছুঁয়ে প্রণাম জানাতে চেয়েছিলাম আমার শিল্পকর্মের মাধ্যমে৷ অনেকদিন সেই ইচ্ছে ছিল, এবার পূরণ হল৷
এই গান তৈরি গল্পও খুব কাকতালীয়৷ বোল্লাকালী কমিটির থেকে গত বছর যোগাযোগ করা হয় শিল্পীর সঙ্গে৷ তাঁদের অনুরোধে ৪-৫ দিনের মধ্যে তৈরি হয় গান, যা বোল্লাকালী মায়ের নিবেদনে প্রথম গান৷ ৪-৫ দিনে গান তৈরি এককথায় অসম্ভব৷ আমার সঙ্গে যখন যোগাযোগ করা হয় কমিটির পক্ষ থেকে তখন একপ্রকার চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলাম যে এত তাড়াতাড়ি কীভাবে গান তৈরি সম্ভব৷ তবে মায়ের আশীর্বাদে সব হয়ে গেল কম সময়ের মধ্যেই৷ জানালেন মেখ্লা৷ গত বছর গান তৈরি হয়েছিল, হয়েছিল ভিডিও শ্যুটও৷ এবছর সেই গান মুক্তি পেয়েছে৷ আগামী ২২শে নভেম্বর রয়েছে পুজো, তার আগে গান প্রকাশ করলেন শিল্পী৷