জি বাংলার নতুন ধারাবাহিক ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’-তে কূটকচালি, শাশুড়ি বৌমার ঝগড়াঝাটি কিছুই নেই। মাত্র দুই দিনেই দর্শকের মন কেড়েছে মেগার গল্প, চিত্রনাট্য এবং বিষয়বস্তু। প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সমাজের একাধিক অন্যায় অবিচারকে নিয়ে। মারামারি, খুনখারাপি , দ্রব্যমূল্যবৃদ্ধি, জাতিবিদ্বেষ, হিংস্রতা, সব কিছুকেই কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে রূপক দে পরিচালিত এই ধারাবাহিকে।
আরও পড়ুন: জি-তে নতুন ধাঁচের ধারাবাহিকে বিশ্বনাথ, সোনালী ও খুদে শিল্পী, বন্ধ হবে কোন মেগা?
advertisement
দাদুর সঙ্গে সকালে চা খেতে বসে খবরের কাগজ পড়তে বসে বোধি। আলোচনা করে দেশের কথা, দশের কথা নিয়ে। তার পর নিজেই চুল আঁচড়ে, ইউনিফর্ম পরে খেতে বসে সে। সকলে যখন লুচি তরকারি খায়, বোধির পেটপুজো হয় চিড়ে দিয়ে। কারণ লুচি খেলে যে পাকস্থলী যকৃতে কুপ্রভাব পড়বে। তার পর স্কুলে গিয়ে ইতিহাসের শিক্ষিকার ভুল ধরিয়ে দেয় সে। সেই শিক্ষিকা যখন প্রধান শিক্ষকের কাছে নালিশ জানাতে যায়, দেখা যায় বাকি শিক্ষক-শিক্ষিকাও বোধিকে নিয়ে নাজেহাল। তার প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারলে অপমানিত বোধ করে শিশুমনকের ছুটে চলাকেই থামিয়ে দেয়।
আর তার পর অভিভাবককে ডেকে পাঠানো। সেই মিটিংয়েও বোধি নিজের জায়গা থেকে সরে না। শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করতে শুরু করে। সেই 'অপরাধ'-এ স্কুল থেকেই তাড়িয়ে দেওয়া হয় চতুর্থ শ্রেণির বোধিসত্ত্বকে। সে কি নতুন স্কুলে গিয়ে মানিয়ে নিতে পারবে? নাকি একই সমস্যার সম্মুখীন হবে বোধি?
আরও পড়ুন: 'অনুরাগের ছোঁয়া'-তে ইন্দ্রাণী, মধুমিতা, বিক্রম! অন্য পুরুষের প্রেমে পড়বে দীপা?
সেন্ট লরেন্স স্কুলে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র রায়ান গুহনিয়োগী ছাড়াও এই ধারাবাহিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় অভিনয় করছেন বিশ্বনাথ বসু (বাবা), সোনালী চৌধুরী (মা), সুমন্ত মুখোপাধ্যায় (দাদু), সমতা দাস (কাকি)প্রমুখ।