এখন কেমন আছে ছেলে? হাতে ব্যান্ডেজ নিয়ে পরীক্ষাও দিয়েছে ৮ বছরের খুদে। পুলিশ এবং স্কুল সকলেই সহযোগিতা করেছে। কিন্তু ছেলে এখনও ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি।
আরও পড়ুন: খেলতে গিয়ে হেনস্থার শিকার অভিনেতা বিশ্বনাথের দুই ছেলে, হাত মচকে অশালীন আচরণ প্রতিবেশীর!
ছেলের উপর অত্যাচার হওয়ার ঘটনায় বিশ্বনাথ বলেন, ‘‘বয়স্কদের মধ্যে শিশুদের প্রতি মনোভাব যেন বদলে যাচ্ছে। অনেক বেশি ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। কিন্তু শিশুদেরকে আমরা তো ফুলের মতো ভাবি। শিশুদের প্রতি ব্যবহারই আমাকে পীড়া দিচ্ছে, ভাবাচ্ছে। ধৈর্যহীনতা যেন একটা রিপু দোষ হয়ে গিয়েছে।’’
advertisement
আজ সকালে তাঁর স্ত্রী দেবিকা বসু বিবৃতি জারি করে গোটা ঘটনাটি জানিয়েছেন সকলকে। দেবিকার দাবি, দুই কিশোরের প্রতি অমানবিক আচরণ করেছেন তাঁদের প্রতিবেশী। মাঠে খেলতে গিয়ে যা ঘটল, তারপর দুই শিশুই এখন আতঙ্কিত।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি বিশ্বনাথ-দেবিকার ছোট ছেলে হিমায়ন বসু (৮), বড় ছেলে বিশ্বায়ন বসু (১৩) তাঁদের বাড়ির সামনের একটি মাঠে খেলা করছিল। ছোট ছেলের হঠাৎ বাথরুম যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে সে কাছেই একটি ফ্ল্যাটবাড়িতে যায়। নীচে যে ছাদের জল পড়ার নালি রয়েছে, সেখানে টয়লেট করে। দেবিকার লেখার, ‘সেই সময় ওই বাড়িতে থাকা এক ভদ্রলোক আচমকা এসে তাঁর হাতটা মুচকে দিয়ে বলে ‘এই টয়লেটটা জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে দে’। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে, আমার বড় ছেলে যায় এবং গিয়ে বলে ‘কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে’। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে ‘আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেব, আমায় ছেড়ে দাও’। তখন ওই ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলে ‘তাহলে তুই চেটে পরিষ্কার করে দিয়ে যা’। তাতে ছোট ছেলের হাতে লাগে এবং কেঁদে ফেলে এবং সেখানে পাড়ার লোকেরা প্রতিবাদ করায় তাদের সঙ্গে বচসা হয়। তারপর ছোট ছেলে বাড়িতে এলে, তার বেশ কিছুক্ষন পর রাতের দিকে মারাত্মক ট্রমাট্রাইজ হয়ে যায় এবং আমরা তখন বাড়িতে ছিলাম না। আমি আমার স্বামীর কাজের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলাম এবং এই ঘটনা শুনে ফিরে আসি। গত রাতে ছেলের হাতে যন্ত্রণা হচ্ছে দেখে আমি হাসপাতালে নিয়ে যেতে বাধ্য হই। ওর এক্স রে হয়, সেখানে হাড়ে ডিসঅর্ডার হয়েছে, একটু নার্ভের ওপর চাপ পড়েছে। এই রিপোর্ট হাসপাতাল আমাদের দেয়। সারারাত প্রচণ্ড ট্রমাট্রাইজড ছিল ও। আজ সকালে ছোট ছেলের হাতে ব্যান্ডেজ করে পাঠানো হয় এবং তাঁর আজকে ক্লাস টু-এর ফাইনাল পরীক্ষা ছিল। স্কুল সম্পূর্ণ বিষয়টি বুঝতে পেরে ছেলেকে পরীক্ষার জন্য অতিরিক্ত ১৫ মিনিট সময় বেশি দেয়। কিন্তু ওই ভদ্রলোক এবং তাঁর একজন বন্ধু ক্রমাগত কেস তুলে নেওয়ার জন্য জোর দিয়ে যাচ্ছে।’