অনেক সময়ই দেখা যায় প্রিয় নায়কের ছবি দেখার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে গিয়েছে। অগ্রিম বুকিং হচ্ছে টিকিট। তার ফলে কোনও ছবির উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়তো দারুণ আকর্ষণীয় হল। বক্স অফিসে সংগ্রহও ভাল হল। কিন্তু তারপর আর ভাল ব্যবসা করতে পারল না ওই ছবিটি। কারণ পরবর্তী সংগ্রহ নির্ভর করছে বিষয়বস্তু এবং পর্যালোচনার উপর।
advertisement
চলতি বছরে অনেক বড় বাজেটের ছবি ফ্লপ হয়েছে। অনেক বড় নায়কও সাফল্য পাননি। চলতি বছর তেমনই একটি দক্ষিণী ছবি ব্যর্থ হয়েছে। অনেক বড় বাজেটের ছবি হয়েও প্রথম দিনে বক্স অফিসে মুখ থুবড়ে পড়েছে।
গত ২৮ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছিল বড় বাজেটের দক্ষিণী ছবি ‘এজেন্ট’। সুরেন্দ্র রেড্ডি পরিচালিত তেলুগু ছবিটি আসলে স্পাই অ্যাকশন ফিল্ম। কাহিনীকার ভাককান্থাম ভামসি। সুপারস্টার নাগার্জুনার ছোটছেলে অখিল আক্কিনেনি ছিলেন মুখ্য ভূমিকায়। এছাড়াও ছিলেন মালায়ালাম তারকা মামুটি এবং বলিউড অভিনেতা ডিনো মোরিয়া। তেলুগু সিনেমায় সাক্ষী বৈদ্য এবং ডিনো মোরিয়ার প্রথম অভিযান ছিল এটি। কিন্তু সফল হয়নি।
২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে এই ছবির ঘোষণা হয়েছিল। তার পর হায়দরাবাদ, বুদাপেস্ট, বিশাখাপত্তনম এবং মানালির বিভিন্ন এলাকায় চলে শুটিং। কোভিড-১৯ অতিমারির কারণে ছবিটি রিলিজ করতে বেশ দেরি হয়।
‘এজেন্ট’ ছবিটিকে বেশ নেতিবাচক ভাবেই সমালোচনা করা হয়েছে। বক্স অফিসের ব্যর্থতার কারণে প্রযোজক অনিল সানকারা এবং আক্কিনেনিকে ক্ষমা চাইতেও বলা হয়েছিল। তাঁরা অবশ্য স্বীকার করে নেন, স্ক্রিপ্টের গোলমালের কারণেই ছবিটি মুখ থুবড়ে পড়ে।
এ ছবি তৈরি করতে খরচ হয়েছিল প্রায় ৮০-১০০ কোটি টাকা। কিন্তু এক সপ্তাহ চলার পর ঘরে এসেছিল মাত্র ১০-১৪ কোটি টাকা। দর্শকের প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারায় এই হাল। দক্ষিণী সুপারস্টার নাগার্জুনের ছেলেও শোচনীয় ভাবে ফ্লপ হয়েছেন।