এই মিনি সিরিজটিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা যাবে দ্রোণ মুখোপাধ্যায়, মিশর বোস (সোহিনী), অমিতাভ চট্টোপাধ্যায়, রাজদীপ সরকার প্রমুখদের। আর সিরিজটি পরিচালনা করছেন সুরজিৎ (সাহেব) মুখোপাধ্যায়। প্রযোজনার দায়িত্বে রয়েছে স্কাইপ্যান কমিউনিকেশন। কাহিনী, চিত্রনাট্য ও সংলাপ বুনেছেন অম্লান মজুমদার। অনির করেছেন সিনেম্যাটোগ্রাফি। এছাড়াও সঙ্গীত ও রূপসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন প্রাঞ্জল এবং রাকেশ।
advertisement
গল্প বোনা হয়েছে নৈহাটির বাসিন্দা বেণুচন্দকে ঘিরে। পেশায় সরকারি কর্মচারী। এদিকে আবার মা-বাবা আগেই গত হয়েছেন, ফলে সব সম্পত্তির মালিক একমাত্র বেণুই। স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে এই বেণুচন্দের জীবনে শুধুমাত্র রয়েছেন তাঁর স্ত্রী মোনালিসা। পরমা সুন্দরী মোনালিসা আবার আজকালকার মেয়েদের মতো কেতাদুরস্ত নন। বলা যায়, শান্ত-ধীর-স্থির স্ত্রীকে নিয়ে বেজায় সুখেই রয়েছেন বেণু। এহেন এক নিপাট সুখী মানুষের জীবনের একটাই সমস্যা, সেটা হল টেনশন। কারণ শরীর আছে, অথচ টেনশন নেই। এটা কি মেনে নেওয়া যায়। তাই বেণু দৌড়য় ডাক্তারের কাছে। সব কিছু পরীক্ষা করে ডাক্তারবাবুও অবাক। এর পরেই শুরু হয় নানা মজার ঘটনা!
জীবনে টেনশন না থাকায় এবার টেনশন খোঁজার অভিযানে বেরিয়ে পড়েন বেণু। ভূতুড়ে বাড়িতে রাত কাটানো থেকে শুরু করে রাতের শহরে স্টোনম্যানের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে নানা রকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকেন তিনি। এর পর তিনি খোঁজ পান দাগী অপরাধী শেখ বিনোদের। এভাবে টেনশন খুঁজতে গিয়ে জলজ্যান্ত এক খুনের ঘটনার সাক্ষী হয়ে যান বেণু। এর পর আবার নৈহাটিতে পাথরের আঘাতে একের পর এক খুন হতে থাকে। এবার টেনশন কাকে বলে, তা হাড়ে হাড়ে টের পান বেণু। আসলে নৈহাটির ধারাবাহিক খুনের ঘটনার পর থেকেই এক অজানা টেনশনে জেরবার হয়ে ওঠেন বেণু ও তাঁর স্ত্রী। কিন্তু কী সেই অজানা টেনশন? এর উত্তর পেতে গেলে অবশ্যই দেখতে হবে ‘বেণুদার Tension’!
এই প্রসঙ্গে চিত্রনাট্যকার অম্লান মজুমদার বলেন, “আমি সব সময়ই অন্য রকম কিছু করার চেষ্টা করেছি। সেটা অভিনেতা হিসেবেই হোক কিংবা লেখক হিসেবে। ‘বেণুদার Tension’ সেই রকমই একটি প্রয়াস। লেখক হিসেবে এটা আমার KLIKK মিনি সিরিজের দ্বিতীয় কাজ। আর পরিচালক সুরজিৎ (সাহেব) মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গেও এটা আমার দ্বিতীয় কাজ। আসলে প্রথম সিরিজটি ছিল আমারই লেখা এবং অভিনীত ‘কালো সাদা আবছা’। ফলে পরপর দু’টি সিরিজের অংশ হতে পারাটাও আমার কাছে অত্যন্ত সৌভাগ্যের! এর জন্য আমি KLIKK-এর কাছেও কৃতজ্ঞ!”