এমনিতেই কঠিন বাস্তব জীবনযাপন সকলের৷ তার মধ্যে আর বাড়তি চাপ তৈরি করতে চাই না৷ দর্শক যেন হাসি মুখে হল থেকে বেরতে পারেন, সেই মতো ছবি বানাই আমি৷ আমার কাছে ফিল্মের শেষ কথা এন্টারনেইনমেন্ট, এন্টারনেইনমেন্ট আর শুধুই এন্টারনেইনমেন্ট৷ বললেন পরিচালক৷ এমন ছবি পুজোয়ে মুক্তি পাচ্ছে না কেন? দেখুন এটা তো পুরোপুরি প্রযোজক এবং ডিসট্রিবিউটাদের ভাবনা৷ এটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই৷
advertisement
আরও পড়ুন চুল কেটে একেবারে নিউ লুকে অপরাজিতা আঢ্য! দারুণ হল স্টাইল
তাঁর ছবি মানেই মজাদার, কমিডি ভরপুর৷ আগেই জানিয়েছে যে তিনি সকলকে হাসাতে ভালবাসেন৷ তবে প্রেমেন্দু বিকাশের ছবিতেও থাকে ভিলেন৷ আর সেই ভিলেন হল সমাজের কোনও এক সমস্যা৷ সেই সমস্যা সমাধানের খোঁজ করে তাঁর ছবি৷ এবারও তার অন্যথা হল না৷
পাকা দেখা ছবিও এমনই এক বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে৷ সত্যিই কি মনের মতো পাত্রের খোঁজ পাবেন পাত্রী বা তাঁর বাড়ির মানুষ৷ সত্যিই কি সমাজের সব কিছু যুক্তি দিয়েই বিচার করা উচিৎ৷ উঠে আসবে এই ছবিতে৷
তবে এই ছবি শহরের ভিড় থেকে অনেক দূরে গ্রাম বাংলার মানুষের উদ্দ্যেশে তৈরি করেছেন চাকিদা৷ আমার ছবি সিঙ্গল স্ক্রিনের জন্য৷ মাল্টিপ্লেক্সের জন্য নয়৷ ৬০-৭০ টাকা দিয়ে আমার ছবি দেখবে সকলে, এটাই চাই৷ কলকাতায় একমাত্র একটি হলেই দেখানো হবে পাকা দেখা৷ বাকিটা জেলা৷ জানালেন পেমেন্দু বিকাশ চাকি৷
চিত্রগ্রাহক হিসেবে কাজ শুরু করেছিলেন৷ এখন তিনি পরিচালনায়৷ কোনও ভাবেই নিজের ছবির চিত্রগ্রাহকের কাজে ঢুকতে চান না তিনি৷ শ্যুটিং-এর কাজ এত অল্প সময়ের মধ্যে হয় এবং বাজেটের চাপ থাকে যে কাজ ভাগ করাই বাঞ্ছনীয়৷ তবে আবার সময় সুযোগ বুঝে, কোনও বন্ধুবান্ধবের ছবিতে চিত্রগ্রাহকের কাজ করব৷ স্পষ্ট করেছেন পাকা দেখার পরিচালক৷
আপাতত তাঁর লক্ষ্য পাকা দেখা ছবির মুক্তি৷ ২ সেপ্টেম্বর ছবির মুক্তি৷ ছবিতে অভিনয় করেছেন সোহম চক্রবর্তী, সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়৷ রয়েছেন লাবণী সরকার, দিপঙ্কর দে, খরাজ মুখোপাধ্যায়৷