এই ঘটনা নতুন নয়। ২০২২ সালের অস্কারে তথ্যচিত্র মনোনীত হওয়ার পর একই ভাবে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়েছিল সুস্মিত ঘোষকে। এবার শৌনককে।
আরও পড়ুন: অস্কারে বাঙালির ছবি, শৌনক বলছেন, ‘রাত দু’টোয় খবর এল, ঘুম উড়ে গেল সঙ্গে সঙ্গে’
আরও পড়ুন : ফের অস্কার এল ভারতে, পুরস্কৃত হল স্বল্পদৈর্ঘ্যের তথ্যচিত্র ‘দ্য এলিফ্যান্ট হুইস্পারার্স’
advertisement
এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে নিউজ১৮-কে আগেই শৌনক জানিয়েছিলেন ছবির গল্প। আহত পাখিদের উদ্ধার করে তাঁদের চিকিৎসা করেন একই পরিবারের দুই সদস্য ও তৃতীয় এক যুবক৷ তাঁদের এই পক্ষী উদ্ধারের জীবন যাপন নিয়েই তৈরি হয়েছে এই ছবিটি৷ ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে ছবিটি উচ্চপ্রশংসা পেয়েছে৷ সেই ছবিই অস্কারের ডকুমেন্টারি ফিচার বিভাগে এ বার মনোনয়ন পেয়েছে৷ এর আগে উচ্চমার্গীয় সানডান্স ফিল্ম ফেস্টিভাল, কান ফিল্ম ফেস্টিভালেও উচ্চ-প্রশংসিত এই ছবিটি৷ প্রাথমিক ভাবে কারা দিল্লিতে পাখি উদ্ধার ও চিকিৎসার কাজ করছেন, তা দেখতে গিয়েই তিনি নানারকম চমকপ্রদ তথ্য পেয়েছিলেন৷ সেই তথ্যের ভিত্তিতে তিনি খুঁজতে খুঁজতে খবর পান দু’জনের, যাঁরা সম্পর্কে ভাই, যাঁরা এই কাজ করে চলেছেন৷ তার পর তাঁদের সঙ্গে দেখা করেন তিনি এবং দেখতে পান, কী ভাবে এই অসম্ভব কাজ তাঁরা করে চলেছেন৷ এরকম করেই শুরু হয়েছিল কাজটি৷
রাত দু’টো নাগাদ এই ছবির মনোনয়নের বিষয়টির খবর পান তিনি৷ সেই রাতটা আর ঘুমোতে পারেননি তিনি৷ একদিকে টেনশন যেমন ছিল, অন্য দিকে তেমন করেই তিনি ছিলেন আনন্দিত৷ একটা রোমাঞ্চ হচ্ছিল মনের মধ্যে৷ প্রাথমিক ভাবে ফোন করেছিলেন ছবির বিভিন্ন কলাকুশলীরা৷ তবে তিনি এটাও বলছেন, পরবর্তী পদক্ষেপগুলির জন্য অনেকটা এগিয়ে যাবেন এই সাফল্যে৷
শৌনকের হাতে অস্কার না উঠলেও তিনি যে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত, এ কথা তো এবার স্পষ্ট। শুধু তা-ই নয়, অস্কারের দৌড়ে নামতে পেরে নিজেকে প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি।
