বেশ কয়েক বছর ধরেই ক্যানসারে ভুগছিলেন অভিনেত্রী৷ অবশেষে মারণরোগের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন বাঙালি অভিনেত্রী৷ কলকাতায় টালিগঞ্জের নিজের বাড়িতেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন অভিনেত্রী৷ স্বামী ও ছেলের সঙ্গে টালিগঞ্জেই থাকতেন অভিনেত্রী৷ মৃত্যুকালে অভিনেত্রীর বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর৷ শ্রীলার মৃত্যুর খবরে শোকস্তব্ধ বিনোদন ইন্ডাস্ট্রি৷
advertisement
বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের আকস্মিক প্রয়াণ কোনওমতেই মেনে নিতে পারছেন না ইন্ডাস্ট্রির কেউই৷ স্বর্ণযুগের অভিনেত্রী বাংলা সিনেমাতেই শুধু থেমে থাকেননি, বরং টলিপাড়ার গন্ডি পেরিয়ে হিন্দি ছবিতেও নামকরা তারকাদের সঙ্গে কাজ করেছেন শ্রীলা মজুমদার৷ বাস্তব জীবনের বিভিন্ন ঘাত- প্রতিঘাতের ছবি তাঁর অভিনয়ের মধ্য দিয়ে বারবার ফুটে উঠেছে৷ শুধু অভিনয় দিয়ে নয়, বরং তার গলার স্বর তাঁকে আলাদা পরিচিতি দিয়েছে দর্শকমনে৷
আরও পড়ুন- একটুর জন্য প্রাণে রক্ষা…! গ্যাস সিলিন্ডার লিক করে আগুন, বিরাট দুর্ঘটনা থেকে বাঁচলেন টলি নায়িকা
আরও পড়ুন- স্পষ্ট ‘বেবিবাম্প’! বিয়ের ১০ মাসেই ঘটা করে সাধ খেলেন মোহর, হবু মা-কে আলিঙ্গন দুর্নিবারের, রইল ছবি
বয়স মাত্র ১৬ বছর৷ স্বনামধন্য পরিচালক মৃণাল সেনের হাত ধরেই বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আসা অভিনেত্রীর৷ সেই ছোট্ট বয়সে নাটকের মহড়া থেকে তুলে এনে ছবিতে সুযোগ দিয়েছিলেন মৃণাল সেন৷ ১৯৮০ সালে মৃণাল সেন পরিচালিত ‘পরশুরাম’ ছবির হাত ধরে চলচ্চিত্র জগতে পা রাখেন অভিনেত্রী৷ এছাড়াও মৃণাল সেনের আরও ছয়টি ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি৷ একাধিক ছবিতে তাঁর অভিনয় নজর কেড়েছে দর্শকদের৷ যেমন- ‘একদিন ‘, ‘অকালের সন্ধানে ‘, ‘খারিজ ‘, ‘চোখের মতো ‘ ছবিতে অভিনয়ের ছাপ রেখে গিয়েছেন তিনি৷ এছাড়াও পরিচালক গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’ ছবিতে তিনি আলাদা জনপ্রিয়তা পেয়েছেন৷
২০০৩ সালে ‘চোখের বালি’ সিনেমায় ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের জন্য বাংলায় কন্ঠ দিয়েছিলেন শ্রীলা মজুমদার৷ টলিউড ছাড়াও বলিউডের প্রথমসারির তারকা শাবানা আজমি, স্মিতা পাটিল, নাসিরুদ্দিন শাহ-র সঙ্গে পর্দায় দেখা গিয়েছে শ্রীলা মজুমদারকে৷ অভিনয় জীবনে অসংখ্য পুরস্কারও জিতেছেন অভিনেত্রী৷ অবশেষে মারণরোগের কাছে হার মেনে মাত্র ৬৫-তেই অমৃতলোকে পাড়ি দিলেন বাঙালি অভিনেত্রী শ্রীলা মজুমদার৷