তাঁর পোস্টে উঠে এসেছে তরুণ মজুমদারের আকাশছোঁয়া জনপ্রিয়তা তথা কাজের ব্যাপ্তির কথাও ৷ বাসবদত্তা স্মৃতিচারণা করেছেন, স্বয়ং উত্তমকুমার নিজে থেকে তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় কাজ করতে চেয়ে ইচ্ছেপ্রকাশ করেছিলেন ৷ তিনি বিনা পারিশ্রমিকে কাজ করেছিলেন ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিতে ৷ প্রসঙ্গত কেরিয়ারের শুরুতে তরুণ মজুমদার যখন সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করতেন, তখনই তাঁর সঙ্গে আলাপ উত্তমকুমার এবং সুচিত্রা সেনের ৷ দু’জনেই তাঁকে বলেছিলেন যদি তিনি নিজে কোনওদিন ছবি করেন, তাহলে তাঁদের যেন বলেন ৷ তাঁরা দু’জনেই আগ্রহী ছিলেন তরুণ মজুমদারের পরিচালনায় অভিনয় করতে ৷
advertisement
দুই তারকার সেই আগ্রহ মনে ছিল তরুণ মজুমদারের ৷ পরিচালনায় এসে প্রথম ছবিটিই তিনি করেছিলেন উত্তম সুচিত্রাকে জুটি করে ৷ তবে তখনও তরুণ মজুমদার একক পরিচালক নন ৷ তাঁরা পরিচালকত্রয়ী ৷ দিলীপ মুখোপাধ্যায়, শচীন মুখোপাধ্যায় এবং তরুণ মজুমদারের পরিচালনা জুটির নাম ছিল ‘যাত্রিক’৷ ১৯৫৯ সালে মুক্তি পায় যাত্রিক গোষ্ঠীর ‘চাওয়া পাওয়া’ ৷ বক্স অফিসে সুপারহিট হয়েছিল এই ছবি ৷ ১৯৬২ সালে এই গোষ্ঠীর পরিচালিত মুক্তিপ্রাপ্ত ‘কাচের স্বর্গ’-ও ছিল বক্স অফিস সফল ৷ এর পরের বছরই অবশ্য ভেঙে যায় ‘যাত্রিক গোষ্ঠী’৷ একক পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন তরুণ মজুমদার ৷ এবং তাঁকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ৷
আরও পড়ুন : ‘আমি কোথায় দু’বার ভালবাসা কথাটা ব্যবহার করেছি? করেছেন স্বয়ং কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ’
আরও পড়ুন : ‘অপরাজিত’ দেখে আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন, অক্সফোর্ডে অনীকের মনে পড়ছে আইসিইউ-তে যোদ্ধা ‘চিরতরুণ’কে
প্রথম ছবির পর অবশ্য তারকার আলোকবৃত্ত থেকে দূরেই ছিলেন তরুণ মজুমদার ৷ বাংলা সাহিত্যনির্ভর চিত্রনাট্য, বলিষ্ঠ চিত্রনাট্য, অসাধারণ সুর এবং অনবদ্য চরিত্রাভিনেতাদের দিয়ে একের পর এক মণিমুক্তোসম ছবি উপহার দিয়ে তিনি সাজিয়েছেন বাংলা চলচ্চিত্রকে ৷ তিনি চলে গিয়েছেন ৷ তাঁর কাজের মধ্যে দিয়েই এখন পাওয়া যাবে তাঁকে ৷ কিন্তু তাঁর কাছ থেকে ভাল কাজ চাওয়ার যেন কোনও শেষ নেই ৷ সকলের সেই আর্তি ফুটে উঠেছে বাসবদত্তার পোস্টেও ৷ তিনি লিখছেন, ‘‘আপনার থেকে ভালো কাজ চাওয়ার বোধহয় কোনো শেষ নেই, শুধু পাওয়ার আশা এখন আর করা যাবে না। তবে আপনার তৈরি সিনেমাগুলোই বারবার সমৃদ্ধ করবে আপামর দর্শককে।’’