সমুদ্র সংযোগের এই ব্যবধান তাঁদের অসমাপ্ত প্রেমের গল্পের প্রতীক। বসুধার বাস্তববুদ্ধি অতটা প্রখর নয়। কৃষ্ণকে বলে, “এটাই পাকা কথা তো? আমাদের কেউ আলাদা করতে পারবে না তো?’’ নির্লিপ্ত গলায় কৃষ্ণ জবাব দেয়, “একদম, আমি দেখে নিয়েছি। আমাদের আলাদা করতে পারবে, এমন কেউ এখনও জন্মায়নি।’’ কিন্তু এটাই বিড়ম্বনা, এখান থেকে বয়ে চলে গল্প।
advertisement
তরুণ এই প্রেমিক প্রেমিকা মুম্বইয়ের একটি বস্তিতে থাকে। জন্মাষ্টমি, হোলির মতো উৎসবে দেখা হয় তাঁদের। রোম্যান্স জমে ওঠে। এভাবেই চলছিল। কিন্তু একদিন হঠাৎই কৃষ্ণ জানায়, তাঁকে ট্রেনিংয়ের জন্য বেঙ্গালুরু যেতে হবে। তারপর দু’বছর কাজ করতে হবে জার্মানিতে।
এর অনেক বছর পর পৌঢ় কৃষ্ণকে দেখতে পায় দর্শক। দু’জনকে খুনের দায়ে ২৫ বছরের জেল হয়েছিল তার। ভাল ব্যবহারের জন্য আড়াই বছর আগে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কৃষ্ণের জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর শুরু হয় আসল গল্প। বসুধা এখন ব্যবসায়ী। অভিজিতের (জিমি শেরগিল) সঙ্গে বিয়ে হয়েছে তাঁর।
এখন কী কৃষ্ণের সঙ্গে বসুধার দেখা হবে? দু’জনে কী আবার নতুন করে সংসার পাতবে? অভিজিৎ তাঁর প্রেমিকা, যাঁকে বিয়ে করার কথা ছিল, তাঁর কাছে ফিরে যাবে? এই সব প্রশ্নেরই উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছে এই ছবি। তবে সব প্রশ্নের উত্তর নাও মিলতে পারে।
১৪৫ মিনিটের সিনেমা। কিন্তু অনেক সময় গল্পকে অহেতুক টানা হয়েছে বলে মনে হতে পারে। প্রথমার্ধ অত্যধিক ধীর। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন দর্শকরা। সব মিলিয়ে পরিচালক নীরজ পাণ্ডে নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পরিচালক আগে বলেছিলেন, “কখনও কখনও এর কোনও শেষ নেই। অনেকটা প্রেমের মতো।’’ এই ছবি দেখতে দেখতে এরকম মনে হতেই পারে দর্শকদের।