সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেদের ছোটবেলার সাদা-কালো একটি ছবি শেয়ার করেছেন আশা ভোঁসলে (Asha Bhosle on Lata Mangeshkar)। ক্যাপশনে লিখেছেন, 'দিদি ও আমি... কত স্মৃতি। আমরা চিরকাল একসঙ্গে থাকব'। সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন লালা হৃদয়ের ইমোজি। চল্লিশের দশকের শেষ দিকে দুই বোন একসঙ্গে গানের জগতে এসেছিলেন। কিন্তু পঞ্চাশ ও ষাটের দশকে লতা তুলনায় অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠলেন। অন্য দিকে, আশা তখনও লড়াই করে চলেছেন। এর পর বহু সময় এমন কথাও সামনে এসেছে যে, লতার কারণে কাজ পান না আশা। কিন্তু দিনের শেষে তাঁরা ছিলেন দুই বোন, ফলে সম্পর্কে কোনও দিনই চিড় ধরেনি তাঁদের।
advertisement
আরও পড়ুন: বাংলার সঙ্গে আত্মিক সম্পর্ক ছিল লতা মঙ্গেশকরের, শিক্ষক রেখেছিলেন বাংলা শিখবেন বলে!
গত প্রায় একটা মাস ধরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তার সঙ্গে ছিল নিউমোনিয়ার সমস্যাও। চিকিৎসকা বারবার জানাচ্ছিলেন, সেরে ওঠার আপ্রাণ চেষ্টা করলেও বয়সের কারণে সেরে উঠতে সময় লাগছে তাঁর। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না। বিরানব্বই বছর বয়সে চলে গেলেন লতা মঙ্গেশকর। সেই সময়ে বার বার দিদির কাছে ছুটে গিয়েছেন আশা। শনিবার রাতেও ফের যখন লতাকে ভেন্টিলেটর সাপোর্টে দেওয়া হয়, তখনও গিয়েছিলেন দিদির কাছে।
আরও পড়ুন: 'ঠিক নেহি হ্যায়' থেকে 'ইয়ে হসিন রাত', লতা মঙ্গেশকরের মুক্তি না পাওয়া গানগুলি...
দিদি লতা মঙ্গেশকরের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতার গুঞ্জনে এক বার এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছিলেন আশা ভোঁসলে। তিনি বলেছিলেন, 'ও আমার দিদি এবং আমার প্রিয় শিল্পী। মানুষ গল্প বানাতে ভালোবাসে, সমস্যা তৈরি করে। কিন্তু রক্ত জলের চেয়ে ঘন।' শিবাজি পার্কে লতা মঙ্গেশকরের শেষকৃত্যেও সামিল হয়েছিলেন আশা ভোঁসলে। ভিড়ের মাঝেও কোথাও যেন নিজেকে আলাদা রেখেছিলেন তিনি। হয়তো মনকে সামলাচ্ছিলেন নিভৃতে।