ট্রেলারের শুরুতেই শোনা গিয়েছে সেই অমোঘ কণ্ঠস্বর। শোনা যায়, স্বপ্ননগরীতে লক্ষ্যকে আসমান সিং হিসেবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছেন কিং খান। তারপরে বলা হচ্ছে যে, ইন্ডাস্ট্রির বহিরাগত আসমানের ঝুলিতে আসে একটি হিট ছবি। শুধু তা-ই নয়, সুপারস্টার অর্জুন তলওয়ার (ববি দেওল)-এর কন্যার প্রেমেও পড়েন তিনি। আর সুপারস্টার অর্জুন-কন্যার চরিত্রে দেখা যাবে সাহের বাম্বাকে। পরে ছবিতে লক্ষ্যের প্রিয় বন্ধু হিসেবে পরিচয় করানো হয় রাঘব জুয়ালকে।
advertisement
আরও পড়ুন: বিনোদনের দুনিয়ায় পা রাখলেন অবিকল এক শাহরুখ! ট্রেলারেই বাবার মতো মন জিতে নিলেন আরিয়ান, দেখুন ভিডিও
যদিও যে বিষয়টা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নিয়েছে, সেটি হল – ট্রেলারের শেষ ভাগটুকু। আসলে শেষে আমরা দেখতে পাই যে, হেঁটে জেল থেকে বেরিয়ে আসছেন লক্ষ্য। সেই সময় এক পুলিশ তাঁকে বলছেন, “টেনশন নেহি লেনে কা, অন্দর জাকে লোগ অওর ভি ফেমাস হো জাতে হ্যায় (চাপ নেবেন না। জেলে গেলে মানুষ আরও বিখ্যাত হয়ে যায়)।”
নির্দিষ্ট এই সংলাপ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। আসলে এখানে নবাগত পরিচালক আরিয়ান খান নিজের জেলে কাটানো সময়ের বিষয়েই ব্যঙ্গ করেছেন। এটা আর কারও বুঝতে বাকি নেই! তবে পরিচালকের এহেন ভঙ্গিতে যারপরনাই চমকে গিয়েছেন নেটিজেনরা।
এই সংলাপের প্রতিক্রিয়ায় এক ভক্ত এক্স প্ল্যাটফর্মে লিখেছেন, “অন্দর জাকে লোগ অওর ভি ফেমাস হো জাতে হ্যায় – এটা সেরা লাইন। আরিয়ান ভাই আপনি তো হেটার্সদের দারুণ জবাব দিয়েছেন।” অন্য এক নেটাগরিক লিখেছেন যে, “ট্রেলারের শেষ দৃশ্যে আরিয়ান কী করেছেন, সেটা আমরা বুঝে গিয়েছি।” সঙ্গে একটি হাসির ইমোজিও দিয়েছেন ওই নেটাগরিক।
প্রসঙ্গত বলিউড বাদশা শাহরুখ খানের পুত্র আরিয়ান খানকে ২০২১ সালের ২ অক্টোবর গ্রেফতার করেছিল নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো বা এনসিবি। মুম্বই উপকূলে একটি বিলাসবহুল ক্রুজে তল্লাশি অভিযানের কালেই এহেন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। আরিয়ানের বিরুদ্ধে মাদক সেবন, মাদক কাছে রাখা এবং মাদক পাচারের ষড়যন্ত্র করার অভিযোগ উঠেছিল। হাই-প্রোফাইল এই গ্রেফতারির জেরে বিনোদন দুনিয়ায় রীতিমতো ঝড় উঠেছিল। হইচই পড়ে গিয়েছিল সংবাদমাধ্যমেও।
সেই সময় আর্থার রোড জেলে ২৮ দিন কাটাতে হয়েছিল শাহরুখ-পুত্রকে। তবে ২৮ অক্টোবর ২০২১ তারিখে বম্বে হাইকোর্ট জামিনে মুক্তি দিয়েছিল তাঁকে। জেলে থাকাকালীন আরিয়ানের আইনজীবীরা সওয়াল করেছিলেন যে, কোনও মাদক আরিয়ানের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। আর তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছিল, তার সঙ্গে আরিয়ানের সরাসরি যোগের কোনও অকাট্য প্রমাণও মেলেনি।