যদিও মুম্বইয়ের আন্ধেরিতে তাঁর বিলাস বহুল ফ্ল্যাট রয়েছে। কিন্তু করোনার শুরু থেকেই অরিজিৎ ফিরে এসেছেন মুর্শিদাবাদে নিজের গ্রাম জিয়াগঞ্জে। করোনায় অরিজিৎ তাঁর মাকে হারিয়েছেন। তাঁর মা ছিলেন গায়কের জীবনের সব কিছু। মায়ের মৃত্যুর পর অরিজিৎ শুধুই জিয়াগঞ্জের উন্নতি নিয়ে ভেবেছেন। সেখানকার গ্রামীণ হাসপাতালে নিজের খরচায় অক্সিজেনের ব্যবস্থা করেছেন। গানের অনুষ্ঠান করে সেই টাকা তুলে দিয়েছেন করোনা রোগীদের চিকিৎসায়।
advertisement
জিয়াগঞ্জে মাঝে মধ্যেই তাঁকে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। একেবারে সাদামাটা পোশাকে আর পাঁচটা সাধারণ মানুষের মতো। রাস্তায় স্কুটি নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তাঁর ছবি কেউ তুললে বলেন, 'কেন ভাই আমি তো তোদেরই লোক।' চায়ের দোকানে গিয়ে চা খান। স্ত্রীকে নিয়ে বাজারে যান। কে বলবে এই ছেলের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। এমনকি জিয়াগঞ্জে রূপম ইসলামের গান শুনতে যান তিনি। তবে সাধারণ মানুষের ভিড়ে মিশে গান শোনেন। মাথায় হুডি পরে নেন, যাতে তাঁকে কেউ না চিনতে পারে। এই মানুষটা ফের একবার চর্চায় উঠে এসেছেন। তাঁর সরলতার জন্য। সাদামাটা জীবনের জন্য।
যেখানে সামান্য সেলেব হলেই মানুষ নানা কিছু করতে থাকেন। সেখানে অরিজিৎ মনেই করেন না তিনি বিশাল কিছু। গান তাঁর সব কিছু। আর সাদামাটা জিয়াগঞ্জের ছেলেই তাঁর পরিচয়। সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় অরিজিতের বেশ কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে। এমন ছবি যে ভাইরাল হতেই হয়।
আরও পড়ুন: 'হবু বউমা আলিয়া ঠিক কেমন?' বিয়ের আগেই মুখ খুললেন শাশুড়ি মা নীতু কাপুর
অরিজিৎ ছেলে জুল-কে ভর্তিও করেছেন বহরমপুরের একটি স্কুলে। সম্প্রতি সেই স্কুলেই যান অরিজিৎ। স্কুল খোলায় ছেলেকে সেখানে পৌঁছতে গিয়েছিলেন। নির্ধারিত সময়ের আগেই পৌঁছে যান মাউন্ট লিটেরা জি স্কুলের প্রবেশদ্বারে। স্কুলের গেট না খোলায় আর পাঁচটা সাধারণ বাবা-মায়ের মতো তিনিও ছেলেকে নিয়ে অপেক্ষা করেন স্কুলের দরজায়। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রীও। এই ছবি দেখার পর থেকেই নানা প্রশংসায় মেতেছেন নেটিজেনরা। অরিজিৎ শুধু গান দিয়ে নয়, তাঁর এই সরল জীবন-যাপন দিয়েও মানুষের মনে সেরার জায়গা করে নিয়েছেন।