ঐন্দ্রিলা বাড়িতে না থাকলে দিদির জন্য ঘুরপাক খেত দুই পোষ্য। আর ঘরে ফিরে এলেই দিদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ত তোজো আর বোজো। রবিবার সন্ধ্যায় কুঁদঘাটের আবাসনে ঐন্দ্রিলার মরদেহ আসতেই সেখানে সকলের মতো আসে দুই সারমেয়ও। তারা চুপচাপ,বাকিদের মতো ওদের মুখেও শব্দ নেই। নিথর দেহ বাড়ি থেকে শ্মশানের দিকে যাওয়ার সময় একবার ডাক দুজনের।
advertisement
আরও পড়ুন : লিখেছিলেন 'আসছে বছর আবার হবে', আগুনের পরশমণি প্রাণে ছুঁইয়ে জীবনের শেষ দুর্গাপুজোতে ঐন্দ্রিলা, রয়ে গেল ছবি
ওই আবাসনের সবাই রবিবার সন্ধ্যায় ছিলেন হতবাক। যে মেয়েটার হাসিমুখ ছিল সকলের প্রিয়, তিনি ফিরলেন শববাহী গাড়িতে। আবাসিক সোমা দাস রোজ বিকালে আবাসনের বাইরে হাঁটতে এলেও রবিবার আর হাঁটলেন না। বললেন, " আমিও ক্যানসার রোগী। ঐন্দ্রিলা বলত লড়াই করে ফিরে আসার কথা। কিন্তু এটা কী হল! বলেছিলাম, তোর বয়স কম, তুই পারবি। কিন্তু কী হয়ে গেল! "
