বোনকে এক মুহূর্তের জন্যও ভোলেননি ঐশ্বর্য। ইনস্টাগ্রামে একটি পুরনো ভিডিয়ো পোস্ট করেছেন তিনি। অভিনেত্রীর বিভিন্ন মুহূর্ত ধরা আছে সেখানে। তিনি লিখেছেন, “প্রতিদিন আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। হ্যাপি রাখি বোনু।”
আজ রাখি। ভাই-বোনেদের এক হওয়ার দিন আজ। ঐশ্বর্যর ভাই নেই। তাঁর সবকিছুই ছিল এই বোন ঐন্দ্রিলা। আজ ২৪ বছরের স্মৃতি আঁকড়ে বসে রয়েছেন দিদি। আরও হয়তো কত কত বছর একসঙ্গে কাটানো ছিল। আরও কত লড়াই লড়তে হত। কিন্তু আচমকাই মাঝপথে সব থেমে গেল ছোট বোন। মিষ্টি ফেলে গেল মিতুলকে। কিন্তু দিদির ফেসবুকের দেওয়াল জুড়ে কেবলই বোনের ছবি, ভিডিও। কত কত সুখস্মৃতির কথা ফুটে উঠছে রোজ রোজ।
ব্রেন স্ট্রোকের পর যে ক’দিন ঐন্দ্রিলা হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন, ঐশ্বর্য প্রতি মুহূর্তে বোনের স্বাস্থ্যের আপডেট, চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলার দায়িত্ব নিয়েছিলেন। দাঁতে দাঁত চেপে বোনের সঙ্গেই লড়াই করেছিলেন। কিন্তু বোনে আটকে রাখতে পারলেন না আর। বোনের শেষযাত্রায় নিজে হাতে সাজিয়ে বোনকে চিরবিদায় জানিয়েছিলেন ঐশ্বর্য। আজ না থেকেও যেন চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ভীষণভাবে আছেন ছোট বোন ঐন্দ্রিলা। সোশ্যাল মিডিয়ার পাতায় লেখা প্রতিটি শব্দেও যেন ফুটে উঠেছে সেই আবেগ।