এখন সকলেই জানে, ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ নিছক একটা নন ফিকশন শো নয়, মহিলাদের নিজেদের স্বপ্নপূরণের একটা প্ল্যাটফর্ম এই শো। মহিলাদের স্বনির্ভর হবার ইচ্ছেকে আরও জোরালো করতেই বাংলার এক বেসরকারি চ্যানেলের এই উদ্যোগ। মহিলারা এই শো-এ অংশগ্রহণ করেন নিজেদের পায়ের মাটি শক্ত করতে। এমনই একজন মা লক্ষ্মী বুকবাঁধা আশা নিয়ে এসেছিলেন এই শো-য়ে জিতে সেই টাকা দিয়ে মেয়ের অপারেশন করাবেন। কিন্তু মানুষ ভাবে এক, বিধাতা অন্য কিছু লিখে রাখেন।দুঃখের বিষয় তিনি জিততে পারেননি, এক লাখ টাকা তিনি নিয়ে যেতে পারেননি। মেয়ের অপারেশনের টাকা জোগাড় করতেই তাঁর আসা, কিন্তু খেলায় তিনি হেরে যান। স্বাভাবিকভাবেই ভেঙে পড়েন তিনি। কিন্তু কোয়েল পাশে এসে দাঁড়ান এই মহিলার। একজন মায়ের নিজের সন্তানের অপারেশনের টাকা জোগাড় করতে না পারার যে কষ্ট তা অনুভব করেই এগিয়ে আসেন কোয়েল। শো-এর মঞ্চেই কোয়েল ওই মহিলাকে আশ্বাস দিয়ে বলেন ওঁর মেয়ের অপারেশনের যাবতীয় খরচ কোয়েল নিজে দায়িত্ব নেবেন। কোয়েলের এই মানবিকতায় মুগ্ধ সবাই।
advertisement
“লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’-এ এসে এক মানবিকতার পরিচয় এঁকে দিলেন টলিকুইন। কোয়েলের কথায়, “এই শো অনেক মহিলার স্বপ্নপূরণের জায়গা এখন। কিন্তু সবাই তো লাখ টাকা নিয়ে যেতে পারে না, খেলায় হার-জিত আছে। যারা বিজয়ী হতে পারল না,তারা কিন্তু পুরোপুরি হেরে যায় না। এই শো কাউকে খালি হাতে ফেরায় না। সব রাউন্ডেই কিছু না কিছু প্রাপ্তি ঘটে সবার। এছাড়া লক্ষ্মী ব্যাঙ্কেরও ব্যবস্থা আছে। সব মিলিয়ে মেয়েদের স্বপ্নপূরণের জন্য এর থেকে ভাল জায়গা আর কিছু হতে পারে না।”
বাংলার সব মহিলারাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন অডিশনের মাধ্যমে। নতুন রূপে ‘লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভ’ চারটে রাউন্ডের জায়গায় পাঁচটা রাউন্ডে খেলা হবে। প্রতি রাউন্ডেই খেলার শেষে প্রতিযোগীদের জন্য থাকছে নগদ টাকার পুরস্কার। একেবারে ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়িনীর জন্য থাকছে এক লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার। এবার থেকে প্রতি পর্বে তিনজনের পরিবর্তে চারজন করে মহিলা প্রতিযোগী থাকবেন। কাউকেই খালি হাতে ফিরতে হবে না।
“টাকার খনি”, “বল ফেলতে টাকা কুলো” এমন সব মজার খেলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন খেলা ‘টাকার গদি’। ইতিমধ্যেই সুদীপ্তা চক্রবর্তীর সঞ্চালনার গুণে এই শো অন্যমাত্রা পেয়েছে। ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এই শো এক ঘণ্টার বদলে প্রতিদিন দেখা যাবে দেড় ঘণ্টা।