বাড়িতে থাকাটা অনেকের কাছেই খুব বিরক্তিকর লাগছে। বাড়িতে একা থাকতে থাকতে ফ্রাস্ট্রেশন হচ্ছে। কিন্তু অভিনেত্রী মনে করেন যেটা হচ্ছে, সেটা আমাদের ভালোর জন্য হচ্ছে। এই রোগ আরও ছড়িয়ে পড়লে, একটা সাংঘাতিক আকার নেবে। তার চেয়ে একটু কষ্ট করা ভালো। তবে অরুণিমার ভীষণ খারাপ লাগছে এক শ্রেণির মানুষের জন্য, যাঁরা কাজে না গেলে টাকা পান না। তাই তিনি সবসময় প্রার্থনা করছেন যাতে খুব তাড়াতাড়ি করোনা গোটা বিশ্ব থেকে চলে যায়।
advertisement
তিনি আরও বললেন, 'পরিস্থিতি দেখে আমি কিছুটা ভয় পেয়েছি। সকালেই মা আমাকে হাওড়া বাজারের ছবি দেখালেন। কাতারে-কাতারে মানুষ জিনিসপত্র কিনতে এসেছেন। এটা যে কতটা সাংঘাতিক সেটা তাঁরা বুঝতে পারছেন না। আমি আমার তরফ থেকে যতটা সম্ভব সচেতনতা ছাড়াবার চেষ্টা করছি। কিন্তু মানুষকে বুঝতে হবে। আসলে ভারতবর্ষে এমন একটা দেশ যেখানে বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষ থাকেন। সকলকে বোঝানো খুব মুশকিল। সেই কারণেই সরকার শাস্তি দেবেন বলে ঠিক করেছেন। যাতে অন্তত ভয়ে মানুষ না বেরোয়।'
করোনার জন্য অনেকটা ফাঁকা সময় পেয়েছেন অরুণিমা। কারও সঙ্গে দেখা করা সম্ভব হচ্ছে না। তাই ফোনে বন্ধুবান্ধব, ভাই বোনদের সঙ্গে চুটিয়ে গল্প করছেন তিনি। মায়ের সঙ্গে কতদিন পর একটানা গল্প করার সময় পেয়েছেন অরুণিমা। এই সুযোগে কিছুটা রূপচর্চা সেরে ফেলেছেন তিনি। এই প্রসঙ্গে বললেন, 'অনেকদিন ধরে ভাবছি মাথায় মেথি দিয়ে নারকেল তেল লাগাবো, কিন্তু সময় করে উঠতে পাড়ছিলাম না। এখন বেশ কিছুদিন বাড়িতে আছি, পেন্ডিং কাজগুলো সেরে ফেলছি।' এমনিতে বাড়িতে একেবারে ভাল লাগেনা অরুণিমার। বিকেল হলেই একটু বের হতে ইচ্ছে করে, একটু আড্ডা দেওয়া, শপিং করা, এইসব নাহলে একেবারেই চলে না তাঁর। কিন্তু গৃহবন্দি হয়ে পড়ায় এসব বন্ধ। বই পড়ে, আড্ডা দিয়ে এবং বিশেষ করে ওয়েব সিরিজ দেখে সময় কাটানোর চেষ্টা করছেন অরুণিমা। ওয়েব সিরিজে অভিনয় করার অফার পেয়েছেন বহুবার। কিন্তু বারবার ফিরিয়ে দিয়েছেন। এই ফাঁকা সময়ে প্রচুর ওয়েবসিরিজ দেখছেন তিনি। অরুণিমার দৃষ্টিভঙ্গি অনেকটা পাল্টেছে। ভালো সুযোগ এলে ওয়েব সিরিজে কাজ করবেন নায়িকা।