সিজন ২-এর মাসিক ফিনালে হাসি-খেলায়-মজায় ভরপুর। ফিনালের বিজয়িনী পাবেন ২লাখ টাকা। সঙ্গে থাকছে লক্ষ্মীদের জীবন সংগ্রামের গল্প। সেইসব গল্প শুনবেন অপরাজিতা। শুধু শুনবেন না গল্প, থাকছে অপরাজিতার নাচের পারফরম্যান্স। জনপ্রিয় বাংলা গান ‘আয় আয় কে যাবি’ থেকে হিন্দি গান ‘ঝুমকা গিরা রে’–সবেতেই পা মেলাবেন তিনি।
advertisement
বাংলার সব মহিলারাই এই খেলায় অংশগ্রহণ করতে পারেন অডিশনের মাধ্যমে। প্রতি রাউন্ডেই খেলার শেষে প্রতিযোগীদের জন্য থাকে নগদ টাকার পুরস্কার। একেবারে ফাইনাল রাউন্ডে বিজয়িনীর জন্য থাকে এক লক্ষ টাকার নগদ পুরস্কার। প্রতি পর্বে এখন থেকে তিনজনের বদলে চারজন করে মহিলা প্রতিযোগী থাকেন। কাউকেই খালি হাতে ফিরতে হয় না। নতুন এই ফরম্যাটে যুক্ত হয়েছে নতুন একটা খেলা। “টাকার খনি”, “বল ফেলতে টাকা কুলো” এমন সব মজার খেলার সঙ্গে এখন খেলা হয় ‘টাকার গদি’। গোটা শো-টি সঞ্চালনার দায়িত্বে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী।
এটি নিছক একটা নন ফিকশন শো নয়, মহিলাদের নিজেদের স্বপ্নপূরণের একটা প্ল্যাটফর্ম যেন এই শো। মহিলাদের স্বনির্ভর হবার ইচ্ছেকে আরও জোরালো করতেই এই উদ্যোগ। এই শো সঞ্চালনা করতে করতে জীবন সম্পর্কে তাঁর ধারণা অনেকটাই বদলে গেছে বলে বার বার জানিয়েছেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। তিনি অনেকবার বলেছেন এত মহিলার লড়াইয়ের গল্প শুনতে শুনতে নিজের জীবন সম্পর্কে অভিযোগ করা তিনি বন্ধ করে দিয়েছেন। এই মাসিক ফিনালেতে এবার সুদীপ্তা নিজের উদ্যোগে ১লাখ টাকা করে তুলে দেবেন তিনজন লড়াকু মা লক্ষ্মীদের হাতে। সুদীপ্তার এই উদ্যোগ সত্যি প্রশংসার দাবি রাখে।
মাঝে মাঝে লাখ টাকার লক্ষ্মীলাভে খেলতে আসেন এক ঝাঁক তারকারা। গল্প,আড্ডায় জমে ওঠে তারকাদের নিয়ে এই পর্ব। তারকারা অবশ্য সব টাকা নিয়ে যান না। তাঁদের টাকা নিয়েই তৈরি হয়েছে “লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক”। এবারে ‘লক্ষ্মী ব্যাঙ্ক’-এর টাকা থেকে চার জন লড়াকু মা লক্ষ্মীদের প্রত্যেকের হাতে তুলে দেওয়া হবে ৫০ হাজার টাকা যাতে তাঁরা তাঁদের স্বপ্ন পূরণের দিশা খুঁজে পান।
