পর পর সাফল্যের সত্ত্বেও বাংলা ছবির আকাশ থেকে কেন হঠাৎ হারিয়ে গেলেন ‘হিরো অভিষেক চ্যাটার্জি’? সঞ্চালক শাশ্বতর এই প্রশ্নের উত্তরে অনুরাগীদের নয়নের মণি, ইন্ডাস্ট্রির আদরের মিঠু বলেছিলেন দু’টো কারণে তিনি হারিয়ে গিয়েছিলেন৷ প্রথমত, ভাগ্য৷ এটা যাঁরা বিশ্বাস করবেন, তাঁদের জন্য৷ দ্বিতীয়ত, ভাগ্যের বাইরে তিনি নির্মম রাজনীতির শিকার৷ কয়েক বছর আগে জনপ্রিয় টেলিভিশন শো-এ অতিথি হয়ে এ কথা বলেছিলেন সদ্য প্রয়াত অভিনেতা৷ নাম না করে তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করান ইন্ডাস্ট্রির তৎকালীন এবং বর্তমান দুই শীর্ষ জনপ্রিয় অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে৷
advertisement
অভিষেকের কথায়, সেই দুই ‘দাদা’ ও ‘দিদি’ জোট বেঁধে বহু ছবি থেকে বাদ দিয়েছেন তাঁকে৷ সই করার পরও তিনি বাদ পড়েন ১২-১৪ টা ছবি থেকে! অভিযোগ ছিল অভিষেকের৷ এছাড়াও কথা চলছিল তিনি অভিনয় করবেন, এরকম আরও ১২-১৪ টা ছবি থেকেও বাদ দেওয়া হয়েছিল তাঁকে৷ আক্ষেপ ঝরে পড়েছিল তাঁর কণ্ঠে এই বলে যে তিনি অন্তত ২০-২২ টা ছবি থেকে বাদ পড়েছেন এভাবে৷
আরও পড়ুন : শঙ্খধ্বনি থেকে সন্ধিপুজোর প্রদীপ প্রজ্বলন তাঁরই হাতে, দুর্গোৎসবে অভিষেকের ছবি
টেলিভিশন শো ‘অপুর সংসার’-এ আর এক অতিথি জুন মালিয়ার পাশে বসে অভিষেক বলেছিলেন তিনি তখন বাংলা ইন্ডাস্ট্রির প্রায় এক নম্বর নায়ক৷ কিন্তু ক্রমাগত ছবি থেকে বাদ পড়ে পড়ে সে সময় এক বছর বাড়ি থেকে বার হতে পারেননি৷ লক্ষ্মীর ভাঁড় ভেঙে তার থেকে পয়সা বার করে তাঁকে অন্নসংস্থান করতে হয়েছিল!
আরও পড়ুন : দীপাবলির সন্ধ্যা থেকে ২ বছর পর মেয়ের ফের স্কুলে যাওয়া, অভিষেকের অ্যালবাম সুখী সংসারের ছায়ামাখা
কিন্তু তিনি নিজে জানতে চাননি? অভিষেকের কাছে এই প্রশ্ন রেখেছিলেন শাশ্বত৷ উল্টোদিক থেকে উত্তর এসেছিল, ‘‘না জানতে চাইনি৷ আমি অন্যায় না করলে কারওর কাছে মাথা নীচু করব না৷ মাথা নীচু করতেই জানি না৷ তাই জন্য আমাকে লাইফে এত কিছু পাওয়ার পরও এত স্ট্রাগল করতে হয়েছে৷ তাঁর দুঃখ, সেই যে তিনি ধাক্কা খেলেন তার পর সেখান থেকে সেভাবে আর ফিরে আসতে পারেননি৷
আরও পড়ুন : সুচারু হাতে মাখছিলেন সিন্নি, অভিষেকের শেয়ার করা পোস্টে উজ্জ্বল সরস্বতীপুজোর স্মৃতি, দেখুন ভিডিও
তিনি যে প্রত্যাশিত বা তাঁর প্রতিভার যোগ্য কদর পাননি, সে কথা তাঁর মৃত্যুর পর নতুন করে চর্চিত হচ্ছে নেটদুনিয়ায়৷ অতীত থেকে উঠে এসে ‘অপুর সংসার’ শো-এর ৩১ নম্বর এপিসোড নতুন করে ভাইরাল হয়েছে৷ যেখানে অভিষেকের আহত কণ্ঠে মিলেমিশে গিয়েছিল গুমরে থাকা চাপা ক্ষোভ এবং অভিমান৷