অভিনন্দন সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে তাঁর ছবির কাহিনিরেখা তুলে ধরতে পাঁচটি শব্দের উপরে গুরুত্ব আরোপ করেছেন- মন, মুহূর্ত, মুদ্রা, কথা আর চরিত্র। পঞ্চেন্দ্রিয় যেমন আমাদের যাবতীয় অভিব্যক্তি নিয়ন্ত্রণ করে, তেমনই এই পাঁচ বিষয়ের উপরে বিশেষ করে ভর দিয়ে থাকে ভালবাসা। যে ভালবাসার গল্প এ বার বলতে চলেছেন তিনি, যেখানে অপূর্ণতার সিঁড়ির বাঁকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যাবে সোহিনী সরকার (Sohini Sarkar) আর ঋত্বিক চক্রবর্তীকে (Ritwick Chakraborty)।
advertisement
পরিচালক জানিয়েছেন যে তাঁর ছবিতে সিঁড়ির এক বিশেষ বাঁক আর সেখানে এসে পড়া আলোর এক বিশেষ ভূমিকা থাকবে। যেখানে রোজ এক নির্দিষ্ট মুহূর্তে দেখা হয় মিষ্টু আর শুভর। শুভ পৌঁছেছে চল্লিশের ঘরে, তার জীবনে বিশেষ কোনও উচ্চাকাঙ্ক্ষা আর অবশিষ্ট নেই। অন্য দিকে, মিষ্টু এক স্কুলশিক্ষিকা। সিঁড়ির এই বাঁকে তারা দেখা করে, কথা বলে। কথা বলতে বলতে তাদের মধ্যে একটু একটু করে বোঝাপড়ার মুহূর্ত তৈরি হয়, দ্বারে এসে কড়া নাড়ে ভালোবাসা। যদিও মিষ্টু একদিন বিয়ে করে চলে যায়, ঠিক যেমন সুনীলের লেখায় মনীষা!
এই সাদৃশ্য বড় প্রকট ঠিকই, তবে এমন ঘটনা যে অনেকের সঙ্গেই জীবনে ঘটেছে এবং ঘটতেই থাকবে, তা-ও কি অস্বীকার করা যায়? পরিচালকও সেটাই দাবি করেছেন। অপূর্ণ প্রেমের চিরন্তন ধারাকেই তিনি ক্যামেরাবন্দি করতে চলেছেন শৈল্পিক ছন্দে, আশা করা যায় তাঁর ছবি সোহিনী আর ঋত্বিকের অভিনয় নৈপুণ্যে দর্শকের মনে অনন্ত প্রেমের ব্যঞ্জনা জোগাতে সমর্থ হবে!