পুরনো দিনের প্রসঙ্গে আমির বলেছেন যে সেই সময়ে তিনি শাহরুখকে খুব একটা ভাল করে চিনতেন না! তবে এটাও ঠিক যে মাঝে মাঝেই তাঁদের দেখা হত, এর ওঁর বাড়িতেও যেতেন তাঁরা। শাহরুখের স্মৃতিচারণেও যেমন উঠে আসে আমিরের বাড়ির দিওয়ালি পার্টিতে তাস খেলার কথা!
প্রথম দিকে অবশ্য খুচখাচ তরজা লেগেই থাকত, বিশেষ করে শাহরুখ আর আমিরের। এই প্রসঙ্গে এক ভুল বোঝাবুঝির উল্লেখ করতে গিয়ে হেসে ফেলেছেন আমির। “একবার আমি পঞ্চগনির খামারবাড়ি থেকে একটা ব্লগ লিখেছিলাম, সেখানে উল্লেখ ছিল যে শাহরুখ আমার পা চাটছে”! বলেই সঙ্গে সঙ্গে নায়ক জবাবদিহি করতে ভোলেন না যে ওটা ফার্মহাউসের কুকুরের নাম, তিনি অভিনেতার কথা বলেননি।
advertisement
আরও পড়ুন : অঙ্কস্যার আর পপিন্স পাশে থাকলে ঘোতনের মতো টাট্টুঘোড়াও উড়ে যেতে পারে পক্ষীরাজ হয়ে! মাক্কালী!
“শাহরুখও তো আমায় নিয়ে রসিকতা করেই চলে! প্রতি বছর একেকটা করে অ্যাওয়ার্ড ফাংশন হয়, আমি সেখানে যাই না, তাও ওরা আমায় নিয়ে টিকাটিপ্পনি কাটতে ছাড়ে না”, বলছেন আমির।
তবে, একবার কিন্তু শাহরুখের কথায় মনে বেশ আঘাত পেয়েছিলেন আমির। তিনি যে ভাবে ছবির প্রচার করেন তীব্র ভাবে, সেটাকে শাহরুখ বলেছিলেন ছ্যাঁচড়ামো! আমির সেবার যা বলেছিলেন, তা থেকে তাঁর আহত হওয়ার বিষয়টা স্পষ্ট ধরা পড়ে। সেই সময়ে বলেছিলেন নায়ক, “শাহরুখ একজন দায়িত্ববান মানুষ, ও যদি এরকম ভাবে কী আর বলব! ওই ভাল বলতে পারবে, জীবনে অনেক কিছু করেছে, এ সবে একজন বিশেষজ্ঞ বলাই যায়”!
আরও পড়ুন : অভিষেক-ঐশ্বর্যর সংসার ভাঙছেই? আটকানো গেল না ডিভোর্স? জল্পনার জলঘোলা জুনিয়র বি-র কথায়
যা-ই হোক, এখন কিন্তু শুধুই বন্ধুত্বের আবহ! “আমরা মাঝে মাঝেই দেখা করার প্ল্যান বানাই, আর আমরা কেউই মোটে একটা ড্রিঙ্কসে থেমে থাকি না! সাধারণত তা সকাল পর্যন্ত চলে, সকাল ৭টা পর্যন্ত তো বটেই, শুধু সলমন নয়, শাহরুখের সঙ্গেও একই ঘটনা ঘটে”, বলছেন আমির। এও বলছেন যে এখনও পর্যন্ত এরকম জমায়েত অন্তত বার দশেক তো হয়েছেই!
আর কী বা বলার থাকতে পারে তাহলে- চিয়ার্স ছাড়া?