তবে এখনও রয়ে গেছে স্মৃতি বিজারিত সেই প্রিয়রঞ্জন দাস মুন্সির বাড়ি। রয়েছে বাড়িতে তিনি যেজায়গায় বসেসভা করতেন আর পাঁচ জনের সঙ্গে সেই দরবার সভার চেয়ার। দেওয়ালের চারিদিকেসেই সময়কার কিছু ফটো এ্যালবাম। সবকিছুই রয়েছে কিন্তু নেই সেই প্রিয়রঞ্জন। একটা সময় এই প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সির বাড়িতেই লোকসভা থেকে বিধানসভা এমনকি পঞ্চায়েত থেকে পৌরসভা প্রতিটি ভোটের রণকৌশল তৈরি করতেন নিজেই তাঁর এই বাড়িতে বসে কর্মী সমর্থকদের নিয়ে।
advertisement
আরও পড়ুন: হাওড়া স্টেশনে কেন নেই ‘১৬ নম্বর’ প্ল্যাটফর্ম? বিরাট রহস্য কিন্তু! শুনলে তাজ্জব হয়ে যাবেন!
শুধু তাই নয় রাজ্যের বিভিন্ন কোণ থেকে তাবড় তাবড় বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতারা এসে শলা পরামর্শ করতেন আগামী দিনের জন্য। ১৯৪৫ সালের ১৩ ই নভেম্বর যার জন্ম হয়েছিল। সেই ব্যক্তি ৭২ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ২০ নভেম্বর ২০১৭ সালে মারা যান। প্রিয়রঞ্জন দাশমুন্সি প্রথম লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হন ১৯৭১ সালে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্র থেকে। এরপর ১৯৮৯ সাল, ১৯৯১ সালে তিনি হেরে যান লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে।
কিন্তু পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে হাওড়া থেকে পুনরায় তিনি লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর ১৯৯৯ সাল এবং ২০০৪ সালে রায়গঞ্জ লোকসভা থেকে জয়ী হন। ভারত সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্তকের মন্ত্রী থেকেও তার দায়িত্ব পালন করেছিলেন নিষ্ঠা সহকারে। কিন্তু আজ সবকিছুই যেন ইতিহাস। তবুও আজও বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃত্বদের কাছে তিনি অভিভাবক হিসাবে গেঁথে রয়েছেন। তাই প্রতিবারের মতো এবার লোকসভা নির্বাচনে ও কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী নেতারাও কালিয়াগঞ্জ এসে তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করেন।
— পিয়া গুপ্তা





