নেটওয়ার্ক 18-এর গ্রুপ সম্পাদক রাহুল জোশী মোদিকে বলেন, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে ৪২ আসনের মধ্যে ১৯ আসন পেয়েছিল বিজেপি, যা রীতিমতো আশাব্যঞ্জক ছিল। এবার পশ্চিমবঙ্গে অন্তত ৩৬ আসনে জয়ের কথা CNN-News 18-এ এসে এক্সক্লুসিভলি জানিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এ প্রসঙ্গে মোদি অবশ্য বলেন, কিছু মানুষের সমস্যা, তারা ১০ বছর পরেও বিশ্বাস করতে প্রস্তুত নয় যে, এই দেশের নাগরিকরা তাদের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মোদি নামক কাউকে নির্বাচিত করেছেন। একটি অংশ আছে, যারা দেশের রায় মানতে রাজি নন। এটা একটা বাস্তবতা- দেশের মানুষ আমাদের সমর্থন করছে। আপনি ভেবেছিলেন যে এটি ঘটবে না। এটা আপনার ভুল।”
advertisement
আরও পড়ুন: লটারিতে এক কোটি টাকা জিতলে ট্যাক্স কেটে হাতে কত পাওয়া যায়? জেনে নিন
মোদির সংযোজন, “আমি সম্প্রতি মালদহে ছিলাম। সেখানে দেখলাম, মানুষ বিশ্বাস করে যে কেন্দ্রে একটি শক্তিশালী এবং স্থিতিশীল সরকার রয়েছে এবং বাংলারও এর থেকে উপকৃত হওয়া উচিত। তৃণমূলের শাসনে নারীরা অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন। সন্দেশখালির ঘটনা গোটা জাতিকে নাড়া দিয়েছে। জনগণের ভোট দেওয়ার অধিকার রয়েছে এবং তারা এই প্রক্রিয়ায় তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করবে। সুতরাং, ক্ষোভ স্বাভাবিক। নোটের স্তুপ বাজেয়াপ্ত করতে দেখেছেন মানুষ। এত টাকা মিলতে দেখেছেন আগে? সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, আপনি ৫০ কোটি, ৩০০ কোটি, ২৫০ কোটি, ২০০ কোটি টাকা উদ্ধার হতে দেখেছেন। গোটা দেশ হতবাক। যতই আড়াল করার চেষ্টা করা হোক না কেন, জাতি এখন বোঝে যে এই সমস্ত লোকেরা লুটেরা।”
বিজেপি এবার বাংলায় বড় জয়ের আশা করছে কিনা জানতে চাইলে মোদি স্পষ্টই বলেন, “অবশ্যই, বাংলায় ক্লিন সুইপ হবে।” বিহারে জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমারের সঙ্গে জোটে রয়েছে বিজেপি। ২০১৯ সালে ৪০টি আসনের মধ্যে ৩৯টি আসনে জিতেছিল এনডিএ। এবারের প্রত্যাশা সম্পর্কে মোদি বলেন, “প্রথমে আমরা একসঙ্গে বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছি। পরে তারা কোথাও গিয়ে আবার ফিরে আসে। জনগণের নির্দেশে আমরা একসঙ্গে আছি। আমি সম্প্রতি বিহারে ছিলাম এবং আমি তা স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি মানুষ কী চাইছেন। এই গরমে যখন কোনও তাঁবু বা কিছু নেই, তখনও লাখ লাখ মানুষ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন। আমি স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি। আগে আমরা বিহারে এক আসনে হেরেছি, কিন্তু এবার হয়ত একটা আসনেও হারব না।”