কেন্দ্রের শিল্প এবং বাণিজ্যমন্ত্রী এই প্রসঙ্গে আরও বলেন, “আমরা আগে এই বিষয় নিয়ে মন্ত্বব্য করিনি। আপনারা মোদির গ্যারান্টি (বিজেপির ইস্তাহার) দেখে নিন। আমরা দেশের প্রতিটি সমস্যাকে গুরুত্ব সহকারে উল্লেখ করেছি, কী ভাবে উন্নতি করা সেই বিষয়েও আলোচনা করেছি।” পীযূষ গোয়েলের দাবি মিডিয়া বা সমাজমাধ্যমে বিজেপির বক্তব্য কিছুটা বদলে গিয়েছে, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডা এবং রাজনাথ সিংয়ের মতো নেতাদের সকলের কাছে পোঁছনোর চেষ্টা করছেন। সেই সঙ্গে স্যাম পিত্রোদার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বিরোধীদের আক্রমণ করেন।
advertisement
পীযূষ গোয়েল বলেন, স্যাম পিত্রোদাজি ওনাদের দীর্ঘ দিনের ভরসাযোগ্য উপদেষ্টা। কংগ্রেসের বৈদেশিক শাখার নাম করে তাঁকে দিয়ে সারা বিশ্বে প্রচার করানো হত, তিনি সেখানে ভারতের নামে বদনাম করতেন।
নির্বাচনী ইস্তেহার নিয়ে তিনি বলেন, “এ বার এক দিকে দেখুন একটা ইস্তাহার বলছে আমরা প্রত্যেকের আর্থিক সঞ্চয়ের বিস্তারিত তথ্য জানব, তদন্ত করব এবং কতটা টাকা থাকতে পারে সেটা আন্দাজ করব। অন্য দিকে, আমরা যদি অর্থের পুনর্বণ্টনের কথা বলি, তা হলে সঞ্চয়কে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলতে হবে, তা হলে সবার আগে টাকা তুলতে হবে এবং ছিনিয়ে নিতে হবে। এটা ওরা বলছে।”
এই বিষয়ে আরও ব্যাখ্যা দিয়ে চারটি প্রসঙ্গ টেনে গোয়েল বলেন, “প্রথমত, যদি ২৫ কোটি মানুষ দারিদ্য থেকে মুক্তি পায় তা হলে এদের মধ্যে বেশির ভাগই এখন মধ্যবিত্ত। তাই এদের সম্পত্তির সব তথ্য সংগ্রহ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, সবটাই দেশের জনসংখ্যার উপর নির্ভর করবে, ওরা সম্পদের পুনর্বিভাজন করবে। তৃতীয়ত, সংখ্যালঘুদের ঠিক ভাবে উন্নয়ন হয়নি, যা মিথ্য়ে; চতুর্থত, স্যাম পিত্রোদাজি বলেছেন সম্পত্তি করের কথা।” ৫৫ শতাংশ সম্পত্তি কর নিয়ে কংগ্রেসকে খোঁচা নিতে ছাড়েননি পীযূষ গোয়েল।