মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন? চিন্তা করবেন না, সাধ্য মতো কেসটা লড়ব৷ যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আট বছর ধরে চাকরি করতেন তাঁদের সামাজিক সম্মান তৈরি হয়নি? স্কুলে এত মাস্টার কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা স্কুলে এসে বসে থাকবে? ওখানে বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা গিয়ে পড়াবে?’
একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রায়দান সম্পর্কে বলছি৷ বিচারপতির নাম বলছি না, প্রয়োজন পড়ে না৷ বলতে পারত, এখানে ভুল আছে সংশোধন করে দিন৷ সবটা তো আমি করি না৷ শিক্ষা দফতর, প্রাইমারি বোর্ড, মাধ্যমিক বোর্ড, এসএসসি, কলেজ সার্ভিস সব আলাদা আলাদা৷ একতরফা রায় দিয়ে একসঙ্গে ২৬ হাজার ছেলেমেয়ের চাকরি খেয়ে নিলেন৷ আর কী বললেন একমাসের মধ্যে 8 বছরের মাইনে সুদ সহ ফেরত দিতে হবে{ আপনার বাড়ির কেউ হলে বলতে পারতেন? আজ কোনও ছেলেমেয়ে আত্মহত্যা করলে দায়িত্ব নেবেন? চিন্তা করবেন না, সাধ্য মতো কেসটা লড়ব৷ যে শিক্ষক শিক্ষিকারা আট বছর ধরে চাকরি করতেন তাঁদের সামাজিক সম্মান তৈরি হয়নি? স্কুলে এত মাস্টার কোথা থেকে আসবে? বাচ্চারা স্কুলে এসে বসে থাকবে? ওখানে বিজেপি, আরএসএস-এর লোকরা গিয়ে পড়াবে?’ একসঙ্গে এত শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি যাওয়ার জন্যও এ দিন সরাসরি বিজেপির দিকেও আঙুল তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী৷’
advertisement
আরও পড়ুন: ‘অভিষেক-কে খুন করতে গিয়েছিল, বাড়ি পর্যন্ত রেকি করেছে’, প্রচার মঞ্চ থেকে বিস্ফোরক মমতা
গতকাল হাইকোর্টের নির্দেশে আরও বলা হয়, বেআইনি ভাবে যারা স্কুল শিক্ষক পদে নিযুক্ত হয়েছিলেন, তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ৮ বছর ধরে পাওয়া বেতনের টাকা ১২ শতাংশ সুদ সহ ফেরত দিতে হবে৷ এক মাসের মধ্যে কীভাবে চাকরি হারারা এই টাকা ফেরত দেবেন, তা নিয়েও এ দিন উদ্বেগ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী৷
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য থেকে পরিষ্কার, হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারাদের পাশেই রয়েছে রাজ্য সরকার৷ কারও নাম না করেই এ দিন ইঙ্গিতপূর্ণ ভাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘বিজেপিতে গিয়ে দালালি করছিস কেন? পাছে সিবিআই, এনআইএ ধরে৷ সেদিন পুরুলিয়ার চাকরি কে বিক্রি করে দিয়েছিল? নামটা আমি বলব না, আপনারা বুঝে নিন৷ সবথেকে বড় কুকর্মটা যে করেছে তার নাম বড় গদ্দার৷ কোর্ট কী রায় দেবে জানলি কী করে? দু দিন আগে বলে দিলি বিস্ফোরণ ঘটাবো? এতগুলো বাচ্চার জীবন কেড়ে নিয়ে নাচছিস, নেচে নেচে বেড়া৷’
