মমতা বলেন, ”প্রধানমন্ত্রীবাবু কাল মিটিং করে গেছেন। কার হয়ে মিটিং করে গেছেন। আমরা তাকে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। খুন, পাচার, দাঙ্গা সে করত। নিজের আয়নায় মুখ দেখো। আমাদের কাছে যে আপদ, সে ওদের কাছে সম্পদ। সে আবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। ছি ছি ছি। লজ্জা লজ্জা লজ্জা।” এ প্রসঙ্গেই তিনি টেনে আনেন সন্দেশখালি প্রসঙ্গও। মমতার কথায়, ”সন্দেশখালি আর দুর্নীতি নিয়ে লড়াইয়ের কথা বলেছেন। জেনে রাখুন সন্দেশখালি সিঙ্গুর, নন্দীগ্রাম নয়। আমরা গ্রেফতার করেছি। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। আমরা অবিচার করিনি। কিন্তু হাথরস, বিলকিস, কী হয়েছে? তুমি কতবার গেছ, তোমার নেতারা কতবার গেছে?”
advertisement
আরও পড়ুন: পরিবারের ১১ জনেরই একসঙ্গে মৃত্যু! গণ আত্মহত্যা নাকি খুন? ভারতের সবথেকে রহস্যময় মৃত্যু-ঘটনা
কেন্দ্রের টাকা না দেওয়া প্রসঙ্গেও এদিন সমালোচনায় মুখর হন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ”চ্যালেঞ্জ করছিm শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। ইউপিতে কত দুর্নীতি হয়েছে। ক্ষমতা থাকলে রিপোর্ট প্রকাশ করুক। আমাদের এলাকায় কেউ বদমাইশি করলে তাদের আমরা গ্রেফতার করি। শাহজাহান, আরাবুলকে গ্রেফতার করেছি। তোমাদের ওই প্রার্থী যে গুন্ডামি করে, তাকে গ্রেফতার করো।”
আরও পড়ুন: তুঙ্গে IPL-এর উত্তেজনা, তার মধ্যে মৃত্যু তারকা ক্রিকেটারের! বয়স হয়েছিল মাত্র ৩৩ বছর
মমতার সংযোজন, ”বিজেপির গ্যারান্টি হল জিরো। এখানে যে ছিল তাকে আর দাঁড় করালে না। আবার একজন নতুনকে এনে দাঁড় করালে। বৈশাখে একজন, জৈষ্ঠ্যে একজন।”
শুক্রবার জলপাইগুড়ি লোকসভা কেন্দ্রের অধীনে জলপাইগুড়ি শহরেই সভা করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যদিকে, আলিপুরদুয়ার লোকসভা অধীনে কোচবিহার জেলার মধ্যেই তুফানগঞ্জে সভা করছেন তিনি। ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে আলিপুরদুয়ার আসনটি বিজেপির দখলে গিয়েছিল। যদিও ২০২১ এর বিধানসভা ভোটে অনেকটাই ভোট পুনরুদ্ধার করতে পেরেছে আলিপুরদুয়ার জেলায় তৃণমূল কংগ্রেস। আর এবারের লোকসভা ভোটে এই তিনটি লোকসভা আসনকে বিশেষ টার্গেট করছেন খোদ তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।