রাজ্যের শাসক দলের শিবিরের প্রধানের সভা ঘিরে সাজ সাজ রব রাজার শহরে। জানা গিয়েছে, রেকর্ড জমায়েত করে সভা হবে শহরের রাসমেলা ময়দানে। গত ৪ এপ্রিল থেকে রাজ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে লোকসভার চূড়ান্ত লড়াই। সে দিন একই জেলার পৃথক দু’টি জায়গায় সভা করেছিলেন মোদি এবং মমতা। প্রধানমন্ত্রী জনতার কাছে আবেদন করেছিলেন, কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিককে জেতানোর ৷ অন্য দিকে, মমতার আবেদন ছিল তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বর্মা বাসুনিয়াকে জেতানোর। জনগণ কোন দিকে থাকবেন, তা নথিভুক্ত হবে আগামী ১৯ এপ্রিল। আর ফল জানা যাবে, ৪ জুন।
advertisement
আরও পড়ুন– সপ্তাহ জুড়েই তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি দক্ষিণবঙ্গে! চরম গরম ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া
অন্য দিকে, সভার প্রস্তুতি চূড়ান্ত লগ্নে তৃণমূল শিবিরেরও। গত ২ এপ্রিল থেকে কোচবিহারে আসতে শুরু করেছেন অভিষেক। তার পর ৪ এপ্রিল দলনেত্রীর সভা হয়। রাসমেলার মাঠে সভা মমতা আগেও একাধিকবার সভা করেছেন। এই মাঠ তাঁর বহু দিনের চেনা। মুখ্যমন্ত্রীর সভা ঘিরে সাজ সাজ রব। মাঠ সাজানোর কাজও চলছে জোরকদমে। সভা সফল করতে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন অঞ্চলে প্রস্তুতি সভা করছেন স্থানীয় নেতারা। রবিবার সন্ধ্যায় এলাকায় প্রস্তুতি সভা করতে এসেছিলেন কোচবিহারে একাধিক নেতা।
আরও পড়ুন– রাশিফল ১৫ এপ্রিল; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
তৃণমূলের জেলা সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, তিনি বলেন, ‘‘আমরা এলাকা ধরে ধরে প্রস্তুতি সভা করছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস, মুখ্যমন্ত্রী আগের বার যখন রাসমেলার মাঠে সভা করেছিলেন, সেই ভিড় তাকেও ছাপিয়ে যাবে। আর প্রধানমন্ত্রীর সভা ভরাতে বিজেপি অসম থেকে লোক এনে মাঠ ভরিয়েছে। এমন মানুষের সভা শুনতে কোচবিহারবাসী আগ্রহী নয়, যিনি এক বর্ণও বাংলা বলতে পারেন না। বাংলা তথা কোচবিহার তার মেয়েকেই চায়। তাই মমতার সভায় সব রেকর্ড ভাঙব আমরা।’’
কোচবিহার লোকসভা আসনটি এমনিতেই পদ্ম শিবিরের দখলে রয়েছে। শুধু দখলে থাকাই নয়, কোচবিহারের সাংসদ নিশীথ প্রামাণিক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীও বটে। রাম মন্দির নিয়ে গোটা দেশের পাশাপাশি কোচবিহারেও বিজেপির যে উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে, তাতে কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়েছেন জেলার তৃণমূল নেতারা। এই অবস্থায় মমতা কোচবিহারে আসছেন, এই খবর জানাজানি হতেই তৃণমূল নেতা-কর্মীরা যেন বাড়তি অক্সিজেন পেয়েছেন।