আসলে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজ পরিবারের বধূ অমৃতা রায়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথোপকথন প্রকাশ্যে এসেছে। সেখানেই মোদিকে বলতে শোনা যায়, রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের সমাজ সংস্কারের কথা ছোটবেলায় স্কুলের পাঠ্য বইতে পড়ানো হতো। সেই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করেন মহুয়া।
নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ওই অডিয়ো বার্তার কিছুটা অংশ শেয়ার করে মহুয়া লেখেন, ‘মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সমাজ সংস্কারের কথা আমাদের শেখানো হত। উনি বোধহয় রাজা রামমোহন রায়ের সঙ্গে রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়কে গুলিয়ে ফেলছেন।’ এরপরই মহুয়ার কটাক্ষ, ”খারাপ হোমওয়ার্ক স্যার।”
আরও পড়ুন: বিরুদ্ধে কঠিন প্রার্থী, বাংলার এই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থীকে ফোন মোদির! বুঝিয়ে দিলেন স্ট্র্যাটেজি
২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার প্রবল চেষ্টা সফল না হওয়ায় এবার লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই আরামবাগ, কৃষ্ণনগর ও বারাসতে সভা করেছেন। সরকারি কাজে উদ্বোধন করেছেন গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোও। আর এবার বঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে লড়াইয়ের ময়দানে নামা দলীয় প্রার্থীদের সোজাসুজি ফোন করে ভরসা দিচ্ছেন। বার্তা দিচ্ছেন কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করার। বসিরহাটে প্রার্থী হওয়া সন্দেশখালির সাধারণ গৃহবধূ রেখা পাত্রকে ফোন করে যা বলেছিলেন, তার থেকে আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভরসা জোগালেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে। সূত্রের খবর, অমৃতার সঙ্গে কথোপকথনে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর প্রসঙ্গও তোলেন মোদি।
সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের গুরুত্ব অমৃতাকে বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতিতে আনকোরা বিজেপি প্রার্থীকে ভবিষ্যতেও যে গাইড করবেন তিনি, তাও স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে উচ্ছ্বসিত অমৃতাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ময়দানে লড়াই হবে।’ কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সেই কথোপকথনের ‘ভুল’ নিয়েই এবার আসরে মহুয়া মৈত্র।