প্রসঙ্গত, গত ১৯ শে মার্চ মহুয়ার মৈত্রের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল লোকপাল। এরপরই শনিবার মহুয়ার বাড়ি ও অফিসে হানা দেয় সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ‘ঘুষ নিয়ে প্রশ্ন’ কাণ্ডে লোকপালের নির্দেশে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। এই বিষয়কে সামনে রেখেই মহুয়া মৈত্রের বাবা দীপেন্দ্রলাল মিত্রের আলিপুরে ফ্ল্যাটে যান সিবিআই আধিকারিকেরা। বহিষ্কৃত তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রের কলকাতার ফ্ল্যাট থেকে খালি হাতেই অবশ্য বেরোন সিবিআইয়ের আধিকারিকেরা। কৃষ্ণনগরের দলীয় কার্যালয়ে গিয়ে তল্লাশি চালিয়েছেন গোয়েন্দারা।
advertisement
আরও পড়ুন: তৃণমূলের খোলা ‘দরজা’ দিয়ে ঢুকে পড়লেন বিজেপি নেতা! এই কেন্দ্র ‘বড়’ সাফল্য শাসক দলের
এরপরই সিবিআই-এর বিরুদ্ধে ভোট প্রচারে বাধা দানের অভিযোগে তুলে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হলেন মহুয়া মৈত্র। প্রাক্তন সাংসদ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে প্রশ্নের অভিযোগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন লোকপাল। সেই পথেই হাঁটল সিবিআই৷ মহুয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে তল্লাশি শুরু করল তাঁরা৷ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের এই পদক্ষেপ নিঃসন্দেহে ভোট প্রচারে অস্ত্র করবে বিজেপি৷
আরও পড়ুন: ইডি হেফাজতেই বড় কাণ্ড ঘটালেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল! তুমুল শোরগোল, শুনলে চমকে উঠবেন!
সূত্রের খবর, লিখিত নির্দেশে সিবিআইকে ছ মাসের মধ্যে তদন্ত শেষ করতে নির্দেশ দিয়েছে লোকপাল৷ পাশাপাশি, তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে নিয়মিত লোকপালের কাছে রিপোর্ট জমা দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে৷ শিল্পপতি হীরানন্দানির থেকে ঘুষ নিয়ে সংসদে প্রশ্ন করার অভিযোগ উঠেছিল মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে৷ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে প্রথম এই অভিযোগ করেছিলেন৷ সেই অভিযোগ খতিয়ে দেখে মহুয়াকে সংসদ থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় সংসদের এথিক্স কমিটি৷ সেই মতো মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত বছর মহুয়ার সাংসদ পদ খারিজ হয়৷