২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কম্যান্ডের লোকসভা ধরে ধরে বৈঠক নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয়েছে রাজ্যের রাজনৈতিক শিবিরে। বিশেষ করে নিজের সংসদীয় কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার নিয়ে তিনি যেভাবে লাগাতার তিন দিন ধরে বিধানসভা ভিত্তিক বৈঠক করলেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রকাশ করেছেন সাংসদ হিসেবে তাঁর ‘সাফল্যের’ খতিয়ান, বই আকারে। সেই বইয়ের নাম ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ হিসাবে তিনি গত আট বছরে কী কী কাজ করেছেন তার সাফল্যের খতিয়ান প্রকাশ করেছেন।
advertisement
আরও পড়ুন– সপ্তাহান্তে রাজ্য জুড়েই ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা বেশি, বাড়বে গরমও !
২০১৪ সালে সাংসদ হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রীর ভ্রাতুষ্পুত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যকালের প্রায় ১০ বছর অতিবাহিত। এক মাসের বেশি সময় এখনও বাকি লোকসভা ভোটের তার কেন্দ্রে। তবে কাজের খতিয়ান তুলে ধরার জন্য তিনি অনেক আগে থেকেই ময়দানে নেমে পড়েছেন। সাংসদ হিসেবে বিগত আট বছরে ডায়মন্ড হারবারের কী কী উন্নতি ঘটালেন তিনি, সেই হিসেবই তুলে ধরেছেন বই আকারে। বইয়ের নাম ‘নিঃশব্দ বিপ্লব’ কেন? নেতৃত্বের তরফ থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার সংগঠন বা দলীয় কাজের সঙ্গে যুক্ত কর্মীরা অবশ্য বলছেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবারে গত দশ বছরে প্রচুর কাজ হয়েছে। সাংসদ হিসেবে যে ধরনের উন্নয়নমূলক কাজ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করেছেন, তা সচরাচর দেখা যায় না। গত দশ বছরে ডায়মন্ড হারবারের চেহারা কতটা বদলে দিয়েছেন সাংসদ, তা এলাকায় না গেলে বোঝা যাবে না। নিঃশব্দে কাজ করে গিয়েছেন অভিষেক। সেই কারণেই বইয়ের নাম নিঃশব্দ বিপ্লব।’’
আরও পড়ুন– রাশিফল ২৯ মার্চ; দেখে নিন আপনার আজকের দিন নিয়ে কী জানাচ্ছেন জ্যোতিষী চিরাগ দারুওয়ালা
সামনের মাসেই রাজ্যে ভোট গ্রহণ শুরু লোকসভা নির্বাচনের। দেশ জুড়ে বিজেপি-বিরোধীতায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জাতীয় স্তরের রাজনীতিতে তাই তৃণমূলনেত্রী এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি রাজ্যের রাজনীতিতেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়ে সাংগঠনিক কাজে যেমন তাঁকে দেখা যাচ্ছে, তেমনই বাংলার বাইরেও অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়ার মতো রাজ্য সামলাচ্ছেন। এ ছাড়া জনসংযোগ যাত্রার দায়িত্বও সামলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তিনি বারবার বলে এসেছেন, ডায়মন্ড হারবার তাঁর কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই সেখানের কাজ তুলে ধরা হয়েছে এই বইয়ের মাধ্যমে। আর এই বই এবার অন্যতম প্রচারের অস্ত্র হতে চলেছে তৃণমূল কংগ্রেসের।
