এদিনের বক্তৃতায় ফের কেন্দ্রীয় বঞ্চনা নিয়ে মন্তব্য করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ বলেন, ‘‘ওরা এতটাকা চুরি করেছে। আর যে গরীব মানুষ ১০০ দিনের কাজ করে তাদের টাকা তিন বছর ধরে আটকে রেখেছে। আর গরীব মানুষের টাকা তিন বছর আটকে রেখেছে। রেশনে বিনা পয়সার চাল মা মাটি মানুষের সরকার দেয়। তুমি চাল দিচ্ছো না কাঁকড় দিচ্ছো। রেশনের টাকা আমরা দিচ্ছি। ভেবেছিল রেশন বন্ধ করে দেব। ওদের জব্দ করে দেব।’’
advertisement
পাশাপাশি, বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা আটকে রাখা নিয়েও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা৷ সরব হন এনআরসি নিয়েও৷ সাধারণ মানুষের কাছে তাঁদের মতামতও জানতে চান৷
এমনকি, সম্প্রতি প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল নিয়েও সরব হন তিনি৷ মমতার কথায়, ‘‘বলেছিল বিনা পয়সায় গ্যাস দেবে, চাল দেবে, চাকরি দেবে গ্যাস বেলুন হয়ে এগুলো আকাশে উড়ছে। উপরন্তু আমাদের ২৬ হাজার ছেলে মেয়ের চাকরি শিক্ষকতার, আদালতে মামলা করে কেড়ে নিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ব্যাপম খবর কী? যারা তদন্ত করতে গেল তারা সবাই খুন হল। কী মোদিবাবু মুখ খুলুন!’’
এর পরেই মমতা মুখে উঠে আসে সন্দেশখালির ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গ৷ বিজেপি-কে নিশানা করে মমতা বলেন, ‘‘মেয়েদের কাছে টাকা নয়, আত্মসম্মান অনেক বেশি। সব পরিকল্পনা করেছিল। সন্দেশখালির পরিকল্পনা কেমন করেছিল দেখলেন তো। মেয়েদের প্ল্যান করে অপমান করেছে।’’
সন্দেশখালির ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, আড্ডার ছলে প্রশ্নকর্তাকে জবাব দিচ্ছেন গঙ্গাধর কয়াল। সেই কথোপকথনে বার বার উঠে এসেছে শুভেন্দুর নাম। গঙ্গাধরকে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘‘এই আন্দোলন (সন্দেশখালির আন্দোলন) এত দিন টিকে আছে কেন? তিনটে ছেলে এ দিক-ও দিক যাচ্ছে, গোটা বিষয়টা পরিচালনা করছে। শুভেন্দুদার আমাদের উপরে আস্থা আছে। শুভেন্দুদা এক বার ঘুরে গিয়েছে, তাতেই আন্দোলন এখনও দাঁড়িয়ে রয়েছে।’’ ভিডিয়োয় গঙ্গাধরের ‘স্বীকারোক্তি’, ‘‘শুভেন্দুদা টাকা আর মোবাইল ফোন দিয়ে গিয়েছেন। কারণ, এই ধরনের কাজ খালি হাতে হয় না।’’ যদিও এই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি নিউজ18 বাংলা৷