প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই সৃজন নেমে পড়েছেন প্রচারে। বিভিন্ন জায়গায় সকাল থেকে রাত পর্যন্ত প্রচারে যাচ্ছেন। প্রচারের সবথেকে বড় হাতিয়ার হিসেবে জনসংযোগকেই বেছে নেন সৃজন। দোলের দিনও নিজের লোকসভা এলাকার বিভিন্ন জায়গায় তিনি ঘুরে বেড়ান। সাধারণ মানুষের সঙ্গে রঙয়ের উৎসবেও মেতে ওঠেন তিনি। একই সঙ্গে চলতে থাকে প্রচার। কখনও পৌঁছে যাচ্ছেন ভাঙড়ের মতো গ্রামীণ এলাকায় কখনও আবার যাদবপুর এইটবি বাসস্ট্যান্ডের চায়ের দোকানে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ নদীর তীরে চরম অযত্নে জন্মায়, এই গাছ চেনেন না নিশ্চিত! সাক্ষাৎ সঞ্জীবনী হাজার রোগের যম
ভাঙড়ে যেদিন প্রচারে গিয়েছিলেন সেদিনই এক আইএসএফ কর্মীর উপরে আক্রমণের অভিযোগ আসে। ওই এলাকায় দাঁড়িয়ে এই ঘটনার প্রতিবাদ করছেন তিনি। যেহেতু তরুণ সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি সেই জন্য খুব সহজে পৌঁছে যাচ্ছেন যুব সমাজের মধ্যে, কথা বলছেন প্রত্যেকের সঙ্গে। তাঁদের সুবিধা, অসুবিধা শোনার পাশাপাশি নিজের বক্তব্য পেশ করছেন তিনি। এ ছাড়াও পৌঁছে যাচ্ছেন ছাত্রছাত্রী, প্রবীণ মানুষের কাছে।
অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থানের পাশাপাশি শিক্ষা ও কর্মসংস্থানের দাবি নিয়ে কথা বলছেন। কখনও রাজ্য রাজনীতিতে দুর্নীতির কথা, কখনও কেন্দ্রের বিভিন্ন জনবিরোধী বিষয় তুলে ধরছেন সাধারণ মানুষের কাছে। তিনি যদি সাংসদ নির্বাচিত হন তাহলে তার পদক্ষেপ কী হবে সেটাও বলছেন জনতাকে। বেশ কয়েক দফার লোকসভা নির্বাচনে এই আসনে ভোট হতে বেশ কিছুটা সময় এখনও পর্যন্ত হাতে আছে। বড় মিটিং মিছিল জনসভা এই সবকিছুর চাইতে ব্যক্তিগত আলাপচারিতাকেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। এখন সেই সময়টাকে ব্যবহার করে তার লক্ষ্য প্রত্যেকটি মানুষের কাছে পৌঁছে যাওয়া এবং যতটা সম্ভব মানুষের সঙ্গে কথা বলা।
আরও পড়ুনঃ একটি পাতা বা ফুলই যথেষ্ট! ঝোপে জন্মানো এই গাছ পাইলসের মহাশত্রু, জেনে নিয়ে আজই খান
আগামী দিনে বড় সমাবেশ কর্মসূচি করা হবে দলের পক্ষ থেকে। কিন্তু তার আগে ব্যক্তিগতভাবে প্রত্যেকটি এলাকাকে আরও ভাল করে চেনা প্রত্যেকটি মানুষের সঙ্গে আরও বেশি কথা বলে তাঁদের মন জয় করাই আপাতত লক্ষ্য সিপিএমের এই তরুণ প্রার্থীর।