বাইশের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি শুধু যে তার ২০০২ সালের রেকর্ড ১২৭ আসনের ফলাফল টপকে গিয়েছে তাই নয়, পদ্মশিবির ভেঙে দিয়েছে কংগ্রেসের ৩৭ বছরের রেকর্ড। এ নিয়ে সপ্তম বার গুজরাতে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। আগামী ১২ ডিসেম্বর মোদি-শাহের উপস্থিতিতে গুজরাতের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন ভূপেন্দ্র প্যাটেল। তার আগে, আজ সন্ধেবেলা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দিল্লিতে গুজরাত জয়ের উদযাপন।
advertisement
আরও পড়ুন: হিমাচলে কি বহাল থাকছে ৪০ বছরের 'রিওয়াজ'? শাসকবিরোধী ভোটে এগিয়ে কংগ্রেস
নিজের কেন্দ্র ঘাটলোদিয়া থেকে ১ লক্ষ ৯২ হাজার ভোটে জিতেছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্রভাই প্যাটেল। গুজরাতে বিজেপির ল্যান্ডস্লাইড ভিক্ট্রি নিয়ে ভূপেন্দ্র প্যাটেল এদিন বলেন, "প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অটলবিহারী বাজপেয়ীর পদাঙ্ক অনুসরণ করেই এই সাফল্য এসেছে।" তাঁকে এত বিপুল ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য সাধারণ মানুষকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্যাটেল।
আরও পড়ুন: ভোটগণনায় এগিয়ে জাদেজা-পত্নী, উৎসব শুরু পদ্মশিবিরে
গুজরাতে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য আপ এবং অল ইন্ডিয়া মিম-কে দায়ী করেছেন সে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বেশ কিছু কেন্দ্র, যা কংগ্রেসের গড় বলেই মনে করা হত, সেই সব জায়গায় কংগ্রেসের ভোটে ভাল রকম ভাগ বসিয়েছে কেজরির আম আদমি পার্টি। কংগ্রেসের ভোট খাওয়ার অভিযোগ উঠেছে অল ইন্ডিয়ার মিম-এর উপরেও। পরাজয়ের দায় নিয়ে নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন গুজরাতের দায়িত্বে থাকা কংগ্রেস নেতা রঘু শর্মা।
অন্যদিকে, হিমাচল প্রদেশে নির্বাচনের ফলাফল সামনে আসার পরে মানুষের রায় মাথা পেতে নিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন সে রাজ্যের বিদায়ী বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী জয়রাম ঠাকুর। বলেছেন, "মানুষের রায় মাথা পেতে নিচ্ছি। পরাজয়ের কারণ অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে খুব শীঘ্রই ইস্তফা দেব।"