মহেন্দ্র পাটনি নামে ওই ঠিকা শ্রমিক উত্তর গান্ধিনগর আসন থেকে নির্দল হিসাবে লড়াই করবেন। সিকিউরিটি ডিপোজিট হিসাবে ১০ হাজার টাকা জমা দিয়েছেন তিনি। সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় এই ১ টাকার কয়েনেই মোট ১০ হাজার কয়েন জমা দিয়েছেন তিনি। তাঁর দাবি, স্থানীয় বস্তিবাসীরাই এই টাকা তুলে দিয়েছেন তাঁকে।
মহেন্দ্র পাটনি জানান, "গান্ধিনগরের মহাত্মা মন্দিরের কাছে একটি বস্তির ৫২১টি কুঁড়েঘর ৩ বছর আগে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল, তিনি ওই বস্তিবাসীর প্রতিনিধি হিসাবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। প্রথমে ২০১০ সালে যখন সরকার একটি মিউজিয়াম তৈরি করে, তখন বস্তিবাসীকে স্থানান্তরিত করে। এখানেই শেষ হয়নি। ২০১৯ সালে স্থানীয় একটি বড় হোটেলের যাওয়ার রাস্তায় বস্তি নাকি সমস্যা হচ্ছিল। তখন ফের বস্তিবাসীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।"
advertisement
আরও পড়ুন, এ কেমন গিফট! মাথায় হাত মহিলা, খোয়ালেন কোটি টাকা
তিনি আরও বলেন, "আমি একজন নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি শ্রমজীবী পরিবারের ছেলে এবং দিনমজুরি করে আমি জীবিকা নির্বাহ করি। একটি বড় হোটেলের জন্য ৫২১টি ঝুপড়ি ভেঙে ফেলা হয়েছিল। তাঁদের অনেককে বেকার করে দেওয়া হয়। এখন যেখানে নিয়ে আসা হয়েছে, সেখানে কোনও জল বা বিদ্যুৎ সরবরাহ কিছুই নেই,"
আরও পড়ুন, আবার মৃদু কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট ঐন্দ্রিলার! এক সপ্তাহে দু’বার আক্রান্ত হৃদরোগে
মহেন্দ্র পাটনি বলেন, "কোনও রাজনীতিবিদ আমাদের সাহায্যের জন্য আসেন না। সরকার যদি আমাদের দাবি পূরণ করে তাহলে আমার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার কোনও আগ্রহ নেই। আমরা চাই সরকার আমাদের বসবাসের জন্য একটি স্থায়ী জায়গা দিক। বারবার উচ্ছেদের ফলে আমাদের ক্ষতি হচ্ছে। ১৯৯০ সাল থেকে এটা চলছে।"