ঘটনাটি এইরকম, ১৯৯০ সালে কংগ্রেস শাসিত কর্ণাটকে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন বীরেন্দ্র পাতিল। সে বছরের অক্টোবর মাসে কর্ণাটকের কিছু জায়গায় সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী পাতিল শারীরিক অসুস্থতার কারণে বাড়িতে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রাজীব গান্ধি তখন উত্তর ভারতে দলের সৎ যাত্রায় ব্যস্ত ছিলেন। আচমকাই কর্মসূচি স্থগিত রেখে তিনি চলে আসেন কর্ণাটকে। ৭ অক্টোবর মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে গিয়ে অসুস্থ বীরেন্দ্র পাতিলের সঙ্গে দেখা করে সোজা বিমানবন্দরে যান রাজীব।
advertisement
আরও পড়ুনঃ বোমা মেরে স্কুল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিল্লি পাবলিক স্কুলে! শেষ পর্যন্ত পুলিশ যা জানল মাথা ঘুরে যাবে
আর এয়ারপোর্টে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জানিয়ে দেন, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছে। বীরেন্দ্র পাতিল অসুস্থ। তিনি পদত্যাগ করতে রাজি হয়েছেন। কয়েকদিনের মধ্যে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠকে পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রীর নাম চূড়ান্ত হবে। কিন্তু অসুস্থ বীরেন্দ্র পাতিল হাইকম্যান্ডকে কড়া জবাব দেন। তিনি বাড়িতে সাংবাদিকদের ডেকে দাবি করেন, রাজীব গান্ধির সঙ্গে তাঁর পদত্যাগের ব্যাপারে কোনও কথাই হয়নি। তাই তিনি ইস্তফা দিচ্ছেন না।
এরপর বিধানসভায় শক্তি পরীক্ষা, সরকারের পতন, রাজ্যে লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের প্রথম সারির নেতা বীরেন্দ্র পাতিলের অপসারণ ইত্যাদি যাবতীয় পর্ব মিটলে সে সময়ের বিজেপির রাজ্য সভাপতি ইয়েদুরাপ্পা রাজীব গান্ধির ওই সিদ্ধান্তের কড়া সমালোচনা করেন।
লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়কে অপমান করে হয়েছে বলে পাতিলের সমর্থনে প্রচারেও নামে বিজেপি। পরের লোকসভা ভোটে চারটি আসন পায় ভাজপা। এরপর থেকেই কন্নড়ভূমে উত্থান গেরুয়া শিবিরের। এবারের ভোটেও মোদি যে প্রসঙ্গে তুলে বলছেন, ‘‘ইতিহাস সাক্ষী, কিভাবে বীরেন্দ্র পাতিলকে অপমান করেছিল গান্ধি পরিবার। কন্নড়বাসী কোনওদিন ওই অপমান ভুলবেন না।’’
