বুধবার সকালে বর্ধমান টাউনহলে প্রাতঃভ্রমণের পাশাপাশি সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন দিলীপ ঘোষ। শোকজ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “আমার বক্তব্য নিয়ে বিতর্ক প্রথমবার নয়। কারণ যে ভণিতা করে, অন্যায় করে আমি তাঁর সামনে বলি। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কোন ব্যক্তিগত ঝগড়া নেই, তাঁর সম্বন্ধে আমার মনে কোন ক্লেশ নাই। উনি লোককে বিভ্রান্ত করার জন্য বারবার রাজনৈতিক বক্তব্য দিয়েছেন। আমি তার প্রতিবাদ করে প্রশ্ন করেছি।”
advertisement
আরও পড়ুনঃ প্রচারে বেরিয়ে অবাক কাণ্ড! ভরদুপুরে এ কী করে বসলেন রচনা! হুগলিবাসী আবেগে ভাসছে
তিনি আরও বলেন, “আমার ভাষা শব্দ প্রয়োগ নিয়ে বহু লোকের আপত্তি আছে। পার্টিও বলেছে, অন্যরাও বলেছে। বলেছে অসংসদীয়। যদি তাই হয় আমি তার জন্য দুঃখিত। কিন্তু তাঁরই পার্টির এক নেতা কাঁথিতে গিয়ে আমার বিধায়কের নামে, তাঁর পরিবারের নামে এর থেকেও খারাপ খারাপ কথা বলবে, গালাগালি দেবে কেন? মান সম্মান নেই? তাঁর বাবা একজন বরিষ্ঠ রাজনীতিবিদ। তাঁর মান সম্মান নেই? তখন তো টিএমসির কেউ প্রতিবাদ করে না। এই ধরনের কাজ যারা শুরু করেছে, রোজ বাপান্ত করা হচ্ছে শুভেন্দু অধিকারী পুরুষ বলে তাঁর, তাঁর বাবার সম্মান নেই? কেবল মহিলা বলে তাঁর সম্মানের প্রশ্ন উঠবে? অফিসিয়াল চিঠির উত্তর অফিসিয়ালি দেব।”
কৃষ্ণনগরে মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। মহুয়া মৈত্রকে তৃণমূল স্টার ক্যাম্পেনার হিসেবে রাখেনি। এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে দিলীপ ঘোষ বলেন, এটা ওদের পার্টির ব্যাপার। প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাগি প্রার্থীদের সব নিয়ে আসতে হচ্ছে। না পেলে বিহার থেকে খুঁজতে খুঁজতে গুজরাট পর্যন্ত যেতে হচ্ছে। কৃষ্ণনগর চৈতন্য মহাপ্রভুর স্মৃতি বিজড়িত। সেখানকার একজন সাংসদ পার্লামেন্টে গিয়ে যা মুখে আসছে তাই বলছে। সেই রকম ব্যক্তিকে তারা কী ভোট দেবেন? আমরা তাঁর সামনে একজন রাজ পরিবারের সদস্য, রাজমাতাকে রেখেছি। এবার ওখানকার মানুষের দায়িত্ব কাকে ভোট দেবেন।
শরদিন্দু ঘোষ