কিন্তু গুজরাতে বিজেপি-র এই সাফল্য সত্ত্বেও এখনও একটি রেকর্ড রয়েছে কংগ্রেসের দখলে৷ গত সাতটি বিধানসভা নির্বাচনে জিতলেও যে রেকর্ড ভাঙা সম্ভব হয়নি বিজেপি-র পক্ষে৷ মোদি ম্যাজিকে ভর করে এবার কংগ্রেসের সেই রেকর্ড বিজেপি ভাঙতে পারে কি না, তা অবশ্য আগামিকালই জানা যাবে৷
আরও পড়ুন: আম আদমি-র ঝড়ে উড়ে গেল বিজেপি, দিল্লিতে এবার নয়া ডবল ইঞ্জিন সরকার
advertisement
তথ্য বলছে, ১৯৮৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস একাই ১৪৫টি আসনে জয়ী হয়েছিল৷ গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনের ইতিহাসে, এখনও পর্যন্ত কোনও দলই এর থেকে বেশি সংখ্যক আসন পায়নি৷ শুধু তাই নয়, কংগ্রেসই একমাত্র দল যারা তিন বার গুজরাত নির্বাচনে ১৪০-এর বেশি আসন পেয়ে জয়ী হয়েছে৷
১৯৭২ সালে গুজরাতে কংগ্রেস পেয়েছিল ১৪০টি আসন৷ আবার ১৯৮০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা ছিল ১৪১৷ প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৯৮৫ সালেই শেষ বারের মতো গুজরাতের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিল কংগ্রেস৷
আবার ১৯৯০ সালের নির্বাচনেই গুজরাতে নিজেদের সবথেকে খারাপ ফল করেছিল কংগ্রেস৷ ওই নির্বাচনে কংগ্রেসের আসন সংখ্যা কমে দাঁড়িয়েছিল ৩৩৷ ভোট প্রাপ্তির হার ছিল মাত্র ৩১ শতাংশ৷
আরও পড়ুন: মমতার সফরকালেই কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ফোন রাজ্যের মন্ত্রীকে, বাংলার জন্য বিরাট সুখবর!
অন্য দিকে ১৯৯৫ সালে প্রথমবার গুজরাতে ক্ষমতায় আসে বিজেপি৷ তার পর থেকে গুজরাতে প্রত্যেক বিধানসভা নির্বাচনেই পদ্মফুল ফুটেছে৷ ২০০২ সালে ১২৭টি আসন পেয়ে জয়ী হয় বিজেপি৷ যা গুজরাতে এখনও পর্যন্ত তাদের সবথেকে ভাল ফল৷
ক্ষমতায় ফিরতে না পারলেও অবশ্য ১৯৯৫ সাল থেকে গুজরাতের প্রতিটি বিধানসভা নির্বাচনেই কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার বেড়েছে৷ ২০১৭ সালে যা বেড়ে হয় ৪৩ শতাংশ৷ ২০০২ সাল বাদ দিলে ১৯৯০ থেকে ২০১৭ সালের মধ্যে প্রতিটি বিধানসভা নির্বাচনেই গুজরাতে কংগ্রেসের আসন সংখ্যাও বেড়েছে৷ ১৯৯৮ সাল থেকে রাজ্যে প্রতিটি নির্বাচনেই কংগ্রেসের ভোট প্রাপ্তির হার ৩৫ শতাংশের উপরে থেকেছে৷ তিন দশকেরও বেশি সময় রাজ্যে ক্ষমতায় না থাকা সত্ত্বেও গুজরাতে এখনও কংগ্রেসই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃহত্তম দল৷
এবারে অবশ্য গুজরাতে কংগ্রেসকে নিয়ে সেভাবে আশার আলো দেখছেন না কেউই৷ তার উপরে কংগ্রেসের ভোটে থাবা বসাতে পারে আম আদমি পার্টিও৷ এই পরিস্থিতিতে অতীত গরিমাই এখন গুজরাতে কংগ্রেসের নেতা কর্মীদের একমাত্র ভরসা৷ মোদি ম্যাজিকে ভর করে বিজেপি-ও কংগ্রেসের তৈরি রেকর্ড ভাঙতে পারে কি না, বৃহস্পতিবার সেদিকেও নজর থাকবে৷