২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে নিজের কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে উৎখাত করার প্রবল চেষ্টা সফল না হওয়ায় এবার লোকসভা ভোট ঘোষণার আগেই আরামবাগ, কৃষ্ণনগর ও বারাসাতে সভা করেছেন। সরকারি কাজে উদ্বোধন করেছেন গঙ্গার নিচে দিয়ে মেট্রোও। আর এবার বঙ্গের লোকসভা কেন্দ্রগুলিতে লড়াইয়ের ময়দানে নামা দলীয় প্রার্থীদের সোজাসুজি ফোন করে ভরসা দিচ্ছেন। বার্তা দিচ্ছেন কাঁধে কাঁধে মিলিয়ে লড়াই করার। বসিরহাটে প্রার্থী হওয়া সন্দেশখালির সাধারণ গৃহবধূ রেখা পাত্রকে ফোন করে যা বলেছিলেন, তার থেকে আরও আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভরসা জোগালেন কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রাজমাতা অমৃতা রায়কে। সূত্রের খবর, অমৃতার সঙ্গে কথোপকথনে ওই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী মহুয়া মৈত্রর প্রসঙ্গও তোলেন মোদি।
advertisement
আরও পড়ুন: ভোটের মুখেই নারদ কাণ্ডে ‘বিস্ফোরণ’! ম্যাথুকে ডাকল সিবিআই, মারাত্মক মন্তব্য স্যামুয়েলের!
সূত্রের খবর, কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের গুরুত্ব অমৃতাকে বুঝিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। রাজনীতিতে আনকোরা বিজেপি প্রার্থীকে ভবিষ্যতেও যে গাইড করবেন তিনি, তাও স্পষ্ট করে দেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিক ভাবেই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে উচ্ছ্বসিত অমৃতাও। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলার পর তাঁর প্রতিক্রিয়া, ‘ময়দানে লড়াই হবে।’
কৃষ্ণনগরের রাজমাতা সদ্যই রাজনীতিতে পা রেখেছেন। শুরুতেই তাঁকে ভোট ময়দানে নামিয়ে দিয়েছে বিজেপি। তাও আবার কঠিন প্রতিপক্ষ মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে। কঠিন লড়াইয়ের আগে প্রধানমন্ত্রী মূলত তাঁকে উৎসাহ বাড়াতেই ফোন করেছিলেন বলে জানিয়েছেন রাজমাতা অমৃতা রায়। তিনি জানান, বেশিক্ষণ কথা হলেও গুরুর মতো মোদি তাঁকে উৎসাহ দিয়েছেন। অমৃতার কথায়, “উনি আমার উপর আস্থা রেখেছেন, এটাই আমার কাছে বিরাট প্রাপ্তি। আমি তো প্রথমবার রাজনীতিতে। গুরুর মতো আমাকে উৎসাহ দিয়েছেন তিনি।”