ভোটের আগে এই ঘটনায় স্বভাবতই অস্বস্তিতে পড়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি৷ যদিও তাঁর দাবি, গোটা ঘটনাই তৃণমূল নেতাদের নির্দেশে হয়েছে৷
শনিবার সকালে নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী বহরমপুরের নতুনবাজারে ভোটের নির্বাচনী প্রচারে গিয়েছিলেন অধীর চৌধুরী। নতুনবাজার এলাকায় অধীর চৌধুরী যেতেই একটি মন্দিরের সামনে তাকে দেখতে পেয়ে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয় । এবং রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখান বিক্ষোভকারীরা। পরে বহরমপুর থানার পুলিশ কে খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে বেশ কয়েকজন কে আটক করে নিয়ে যায়। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় বহরমপুর শহরে।
advertisement
আরও পড়ুন: পাখির চোখ সোকসভা! উত্তরের তিন জেলায় প্রচারে তৃণমূলের ইস্যু কেন্দ্রীয় বঞ্চনা
তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ, নিজের হিংস্র মনোভাব ত্যাগ করতে পারেননি বহরমপুরের সাংসদ৷ এই ঘটনাতেই তা ফের প্রমাণিত হয়ে গেল৷ গুন্ডাবাহিনী নিয়ে কয়েকজন তৃণমূলকর্মীকে আক্রমণ করে ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চান তিনি৷ শুধু হিংস্র আচরণই নয়, অধীররঞ্জন চৌধুরী এই ঘটনা নিয়ে মিথ্যাচার করে উল্টে তৃণমূলকর্মীদের ঘাড়েই দোষ চাপানোর চেষ্টা করেন৷
অধীর চৌধুরী অবশ্য পাল্টা বলেন, প্রতিদিনের মতো আজকে আমি ভোটের প্রচারে বেরিয়েছিলাম৷ গান্ধি কলোনি থেকে বি টি কলেজ পর্যন্ত পদযাত্রা যখন শেষ হয়, বাড়ি ফিরে আসছিলাম। তখনই হঠাৎ করে গঙ্গার ধার দিয়ে চিৎকার করে গো ব্যাক স্লোগান দেওয়া হয়। বিরক্ত হয়ে আমি গাডি় থেকে নেমে বিক্ষোভকারীদের সামনে গেলে তারা বলে আমি নাকি পাঁচ বছরে কিছু করিনি৷ যদিও ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগ নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি অধীর৷ বরং তাঁর দাবি তৃণমূলনেতাদের নির্দেশেই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন কয়েকজন৷
অধীরের পাল্টা অভিযোগ, পুরভোটের আগেও বহরমপুরে এই কৌশলই নিয়েছিল তৃণমূল৷ কংগ্রেস প্রার্থী অবশ্য পাল্টা হুঁশিয়ারি, তৃণমূল এখানে আতঙ্কে ভুগছে৷ তারা জানে এখানে মানুষ তৃণমূলের সঙ্গে নেই৷ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একথা জানেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আদেশে নির্দেশে এই গুন্ডাগিরি চলছে। এই গুন্ডাগিরি মানব না। দুর্বৃত্তদের কাছে মাথা নিচু করে চলার লোক অধীর চৌধুরী নয়৷
সহ প্রতিবেদন- প্রণব কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়