কেনও এই রকম হয় তা নিয়ে নানা মুনি নানা মত উঠে এসেছে রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই বলেছেন রাজনীতির পাটিগণিতে অনেক সময় এক আর এক দুই আবার অনেক সময় এক আর এক ১১ হয়। তবে সিপিএমকে এই অঙ্কে খালি হাতেই ফিরতে হয়েছে। এই নিয়ে অনেক হিসেব নিকেশ হলেও এর কোনও কুলকিনারা পাওয়া যায়নি। তবে তার আসল কারণ বলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
advertisement
আরও পড়ুনঃ ছন্দে ফিরছে নন্দীগ্রাম! স্বাভাবিক হচ্ছে মনসা বাজার এলাকার জীবনযাত্রা
কলকাতা প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিতে এসেছিলেন অধীর। সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রদেশ সভাপতি ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তিনি জানান, এটা একটা মনস্তাত্ত্বিক বাধা কংগ্রেস কর্মীদের কাছে। তিনি বলেন, “সিপিএমের ভোট কংগ্রেসের দিকে আসে আর কংগ্রেসের ভোট পায় না সিপিএম। একথাটা ঠিক। তার কারণ, ৩৪ বছর রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল বামেরা। সিপিএমের নেতৃত্বে বামফ্রন্ট সরকার থাকাকালীন তাদের প্রধান প্রতিপক্ষ ছিল কংগ্রেস। তাঁকে নিজেকেও সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয়েছে। সেই লড়াই চলার সময় অনেক ক্ষেত্রেই কংগ্রেস কর্মীরা ‘ভিকটিম’ হয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেসের কাছে কখনোই সিপিএম কর্মীদের এরকম ‘ভিকটিম’ হতে হয়নি। ফলে একটা মনস্তাত্ত্বিক বাধা রয়েছে কংগ্রেস নেতা, কর্মী, সমর্থকদের কাছে। সেই কারণেই দল বললে সিপিএমের ভোটাররা এসে কংগ্রেসের সিম্বলে ভোট দিয়ে যায়। কিন্তু কংগ্রেসের ভোট সিপিএম পায় না।”
যদিও পাটিগণিতের ভরসায় এর পরেও বারবার কংগ্রেসের সাথে হাত মিলিয়েছে সিপিএম। এবার লোকসভা নির্বাচনেও কাস্তে হাতুরি হাতের সাথে হাত মিলিয়েছে। যৌথ প্রচার হয়েছে। মুর্শিদাবাদ কেন্দ্রে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক প্রার্থী। সেখানে মহম্মদ সেলিমের হয়ে লড়েছেন কংগ্রেসের কর্মীরা। আবার বহরমপুর কেন্দ্রে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী প্রার্থী। সেখানেও তাঁর প্রচারে পরিশ্রম করেছে সিপিএম কর্মীরা। কিন্তু এ বারেও কি কংগ্রেসের ভোটাররা একই রকম আচরণ করবেন?
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি জানিয়েছেন, “এখন সময় অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। গঙ্গা থেকে অনেক জল বয়ে গিয়েছে। সিপিএম এবং কংগ্রেস কর্মীদের পরিস্থিতি একই। রাজনৈতিকভাবে তার শিকার হচ্ছেন দু’পক্ষই। তাই নিচু তলাতেও দু-তরফেই একটা পারস্পারিক বোঝাপড়া হয়েছে। যার সুফল এবার ভোটে পাওয়া যাবে। সিপিএমের ভোট শুধু কংগ্রেসের দিকে আসবে না। এবার কংগ্রেসের ভোটও পাবে বামেরা।”
Ujjal Roy