সোমবার রাতে এই বিজ্ঞপ্তি(Notice) জারি করা হয়েছে জানা গিয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি স্কুল, সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুল, মডেল স্কুল এবং এনআইজিএসগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকারা এবার থেকে আর কোনও ভাবেই প্রাইভেট টিউশান করতে পারবেন না। এমনকী পড়াতে পারবেন না কোনও কোচিং সেন্টারেও।
ওই নির্দেশিকা অনুযায়ী, স্কুল শিক্ষা দফতরের এই নিয়ম অমান্য করলে সেই শিক্ষক বা শিক্ষিকার চাকরিও পর্যন্ত চলে যেতে পারে। শুধু তাই নয়, আটকে যেতে পারে ওই ব্যক্তির পেনশনও। এই নির্দেশ যাতে অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলা হয় তার জন্য রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ওই সব স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে নোটিশও পাঠানো হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে ঢাকা যাচ্ছিল বাস, থামানো হল পদ্মা সেতুর উপর! যা মিলল, চক্ষু চড়কগাছ সকলের
রাজ্যের সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশনি নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। শুধু যারা গৃহশিক্ষকতা করেন, তাঁরাও বারংবার এই অভিযোগ করে আসছেন। বাম জমানাতে আইন করে সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রাইভেট টিউশনি বন্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও খুব একটা লাভ হয়নি। বহু স্কুল শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রাইভেট টিউশনি বহাল তবিয়তে চালিয়ে যেতে থাকেন। এ নিয়ে মামলাও চলেছে আদালতে।
আরও পড়ুন: পদ্মা সেতু অতীত, বাংলাদেশে শুরুর অপেক্ষায় আরও এক বিরাট সেতু! চোখ ধাঁধিয়ে যাবে...
সম্প্রতি, গৃহশিক্ষকদের একটি সংগঠন স্কুল শিক্ষা দফতরে প্রমাণ সহ ৬১জন শিক্ষকের বিরুদ্ধে এ বিষয়ে অভিযোগ জানায় বলে খবর। সেই অভিযোগের পরপরই এবার রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দফতরের এই বিজ্ঞপ্তি। সোমবার রাত থেকেই সেই নির্দেশ কার্যকর হচ্ছে। 'রাইট অব চিল্ড্রেন টু ফ্রি এন্ড কম্পালসারি এডুকেশন অ্যাক্ট ২০০৯-এর আওতায় এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে।