এ দিকে, স্কুলস্তরের শিক্ষা ব্যবস্থায় প্রথম দু’বছর অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে পড়ার বিষয়ে জোড় দেওয়া হয়েছে শিক্ষা নীতিতে। ত্রি-ভাষা নীতি অর্থাৎ তিনটি ভাষা অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ানোর সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে রাজ্য। ইতিমধ্যেই স্কুল শিক্ষা দফতরের তরফে ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে ১৭৮ পাতার এই শিক্ষা নীতি।
আরও পড়ুনঃ লক্ষ লক্ষ স্কুল-কলেজ পড়ুয়াদের জন্য বিরাট খবর, নয়া শিক্ষানীতি প্রকাশ, আমূল বদলাচ্ছে পরীক্ষা পদ্ধতি
advertisement
প্রসঙ্গত, শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু আগেই জানিয়েছিলেন কেন্দ্রের জাতীয় শিক্ষানীতি মানার পরিকল্পনা নেই রাজ্যের। বিধানসভাতেও সরকারের এই অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। তবে রাজ্যের শিক্ষানীতি ঢেলে সাজানো হবে।
নয়া এই নীতিতে মাতৃভাষা পড়ার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। প্রথম শ্রেণি থেকেই বাংলা ভাষা সম্পর্কে পড়ুয়াদের ধারণা তৈরি করতে হবে, শিক্ষা নীতিতে রাজ্যের অবস্থান স্পষ্ট। নয়া এই নীতিতে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের কর্মজীবনের পাঁচ বছর অন্তত গ্রামাঞ্চলে শিক্ষকতা করতে হবে। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য আসছে নয়া ‘প্রমোশন নীতি’।
নয়া শিক্ষানীতিতে উচ্চমাধ্যমিকের এমসিকিউ (MCQ) টাইপ প্রশ্ন থেকে সেমিস্টার পদ্ধতি-সহ একাধিক বদল আসবে। রাজ্যের শিক্ষা নীতিতে বলা হয়েছে অষ্টম শ্রেণি থেকে উচ্চতর ক্লাসে সেমিস্টার পদ্ধতি চালু হবে।আগামী তিন বছরের মধ্যেই ধাপে ধাপে এই সেমিস্টার সিস্টেম কার্যকর করার কথা শিক্ষা নীতিতে উল্লেখ রয়েছে। নয়া শিক্ষানীতি ২০৩৫ সালের মধ্যে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থাকে উন্নততর জায়গায় নিয়ে যাবে বলে মত দফতরের আধিকারিকদের।
Somraj Bandopadhyay