কিন্তু হঠাৎ করে কেন এই তথ্য চাওয়ার প্রয়োজনীয়তা এল? রাজ্য স্কুল শিক্ষা দপ্তর শিক্ষকদের বদলির জন্য উৎসশ্রী প্রকল্প চালু করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে বদলি হচ্ছে। এর ফলে বিভিন্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষকদের সংখ্যা কমছে, বাড়ছেও।
আরও পড়ুন: এসএসসি গ্রুপ ডি-র ৫৭৩টি ভুয়ো নিয়োগ বাতিল, বেতন পুনরুদ্ধারের নির্দেশ হাইকোর্টের
advertisement
ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলা থেকে এই সংক্রান্ত রিপোর্টে এসে পৌঁছচ্ছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে। সেই কারণেই স্কুল ভিত্তিক এই তথ্য চাইছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার কারণ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি হওয়ার পর এখন কত জন করে শিক্ষক শিক্ষিকা প্রতিটি স্কুলে রয়েছেন, সেই সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা চায় পর্ষদ।
প্রসঙ্গত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বদলি হওয়ার ফলে গ্রামের একাধিক স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকাদের সংখ্যা অনেকটাই কমে গিয়েছে। এই রিপোর্টে এসে পৌঁছেছে শিক্ষা দপ্তরে। পাশাপাশি যে স্কুলগুলির থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকারা অন্য স্কুলে বদলি হয়ে যাচ্ছেন সেই শূন্য পদ গুলিও সেই ভাবে পূরণ হচ্ছে না।
প্রসঙ্গত আগামী মার্চ মাসে রয়েছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। তারপরই আবার উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা হওয়ার কথা। সে ক্ষেত্রে পরীক্ষা পরিচালনার জন্য সব স্কুলে পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা আছে নাকি, তা জেনে নিতে চাইছে স্কুল শিক্ষা দফতর৷
আরও পড়ুন: জঙ্গলের মধ্যে 'পাড়ায় শিক্ষালয়', ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা এবার যে দাবি তুললেন...
বিশেষত রাজ্যজুড়ে ৬ হাজারেরও বেশি পরীক্ষা কেন্দ্রে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে বিভিন্ন জেলার প্রান্তিক অঞ্চলে স্কুলগুলিতে ও পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা রয়েছেন কি না, তা জানতে চাইছে পর্ষদ৷ তার কারণ পরীক্ষা পরিচালনা করতে গেলে নজরদারির জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকা প্রয়োজন। কিন্তু যদি দেখা যায় প্রয়োজনের তুলনায় সেই সংখ্যা কম হচ্ছে তাহলে বিকল্প ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
অন্যদিকে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংখ্যা কত সেই বিষয় সম্পর্কেও একটা বিস্তারিত ধারণা চলে আসবে। সে ক্ষেত্রে যে স্কুলগুলিতে কম সংখ্যক শিক্ষক-শিক্ষিকারা রয়েছেন, সেখানেও বিকল্প ব্যবস্থা করে নেওয়া যেতে পারে। তার জন্যই প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিক্ষিকাদের থেকে এই তথ্য চাওয়া হচ্ছে বলেই সূত্রের খবর। যদিও এই বিষয় নিয়ে পর্ষদ সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায় কোন মন্তব্য করতে চাননি।