প্রথম পর্যায়ের প্রথম পর্যায়ে পোর্টালে আবেদন এবং রেজিস্ট্রেশনের দিন ছিল ১ জুলাই। তা বৃদ্ধি করে করা হয় ১৫ জুলাই। দ্বিতীয়বার আরও ১০ দিনের সময়সীমা বৃদ্ধি করা হল উচ্চশিক্ষা দফতরের পক্ষ থেকে। স্বাভাবিক ভাবেই আবেদনের সময়সীমা ক্রমে বৃদ্ধি পাওয়ায় কবে ক্লাস শুরু হবে. তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন? বিকেল ৫টা পর্যন্ত অভিন্ন পোর্টালের মাধ্যমে আবেদনের সংখ্যা ১৯ লক্ষ ৯২ হাজার ৬৬১। আবেদনকারী পড়ুয়া হল ৩ লক্ষ ৪৮ হাজার ১৬৯। ভিন্ন রাজ্য থেকে আবেদন করেছেন ২৩,১৫৯ জন বলে উচ্চশিক্ষার দফতর সূত্রের খবর। সুরেন্দ্রনাথ কলেজের অধ্যক্ষ ইন্দ্রনীল কর বলেন, ‘‘যত দ্রুত ভর্তি সম্পন্ন হবে ততই ছাত্র-ছাত্রীদের অসুবিধা হবে। এ বছর পুজো আগে। তাই হাতে খুব অল্প সময়। দু’বার সময়সীমা বৃদ্ধি করার ফলে প্রথম সেমিস্টারের সময় কম পাবেন পড়ুয়ারা।’’
advertisement
তবে ভর্তি শেষ হতে এত দেরি হলে ভাল পড়ুয়া কলেজগুলিতে পাওয়া মুশকিল হয়ে যাবে বলে মনে করছে শিক্ষক মহলে একাংশ। ইতিমধ্যেই এই অভিন্ন পোটালের বাইরে থাকা যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়, স্বশাসিত কলেজ এবং সংখ্যালঘু উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছে। এমনকি, নেতাজী মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ও নির্দিষ্ট সময় হয়েছে ভর্তি প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার অভিন্ন পোর্টালের একটি বিজ্ঞপ্তি ঘিরে তৈরি হয়েছিল জল্পনা। সেখানে একটি বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে ২০২৪-র ২২ মে হাইকোর্ট থেকে দেওয়া আইনকেই মান্যতা দেওয়া হবে তালিকা প্রকাশের ক্ষেত্রে। কারণ বিষয়টি এখনও বিচারাধীন। যদি পরবর্তী কালে কোনও পরিবর্তন হয় তবে সেই মতো নির্দেশিকা পরিবর্তন করা হবে। ২০১০-এর আগে প্রযোজ্য সংরক্ষণ পদ্ধতিতে ৬৬টি জনগোষ্ঠীর জন্য ওবিসি-দের ৭% সংরক্ষণ ছিল।
রাজ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোন আইনকে মান্যতা দেয় তার দিকে তাকিয়ে আছে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়। যেমন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় এবং উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ে। যাদের ভর্তির সিদ্ধান্ত রাজ্যের নির্দেশিকার উপরেই নির্ভর করবে।